কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক রুবেল হত্যা: ২ সপ্তাহ পরও চিহ্নিত হয়নি হত্যাকারী
কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত খুনিরা চিহ্নিত হননি। এমনকি হত্যাকাণ্ডের কারণও উদঘাটন করা যায়নি। পুলিশের এই ব্যর্থতায় কুষ্টিয়ার সাংবাদিক নেতারা হতাশা জানিয়েছেন।
গত ৩ জুলাই রাতে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ে অফিস থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন রুবেল। এর ৪ দিন পর কুমারখালী তেবাড়িয়া এলাকায় গড়াই নদীতে নির্মাণাধীন গোলাম কিবরিয়া সেতুর নিচে রুবেলের অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।
রুবেল নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। সাংবাদিক নেতারা বলছেন, পুলিশ তখনই তৎপর হলে হয়ত রুবেলকে জীবিত উদ্ধার করা যেত।
রুবেল কুষ্টিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিজে একটি অনলাইন (অনিবন্ধিত) পত্রিকা প্রকাশ করতেন। একই সঙ্গে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। ঠিকাদারির পাশাপাশি আড়তদারি ব্যবসাও করতেন।
রুবেলের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়েছে। গত সোমবারও কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে পুলিশ সুপার (এসপি) খায়রুল আলমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে এসপি খুনিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে এসপি বলেন, পাবনা নৌ-পুলিশ মামলার তদন্ত করছে। কুষ্টিয়ার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি বোর্ড বিষয়টি মনিটরিং করছে। শিগগিরই জড়িত ব্যক্তিদের ধরা সম্ভব হবে।
তিনি পুলিশকে প্রতিপক্ষ না ভাবতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
এসপি খায়রুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পুলিশ তদন্তের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। নিহত সাংবাদিকের ৭টি সিম কার্ড থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
সাংবাদিক রুবেলের হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এসএম মুস্তানজিদ। তিনি বলেছেন, নিজেদের সহকর্মীর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে কুষ্টিয়ার সাংবাদিকরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। এটা দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।
Comments