কাজ চালিয়ে যাবো: জামিনে মুক্তির পর জুবায়ের

ভারতের নয়াদিল্লির তিহার জেল থেকে জামিনে মুক্তির একদিন পর ফ্যাক্ট চেকিং পোর্টাল অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জুবায়ের বলেছেন, তিনি আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাবেন।
তিহার জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জুবায়ের। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের নয়াদিল্লির তিহার জেল থেকে জামিনে মুক্তির একদিন পর ফ্যাক্ট চেকিং পোর্টাল অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জুবায়ের বলেছেন, তিনি আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাবেন।

আজ শুক্রবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জুবায়ের বলেন, 'আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় আমি আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাবো।'

গতকাল তার মুক্তির আদেশ দেওয়ার সময় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেন, 'চলমান মামলায় জুবায়েরকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা এবং বিভিন্ন মামলায় অন্তহীন বৃত্তাকার বিচারের অধীনে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।'

উত্তর প্রদেশে জুবায়েরের বিরুদ্ধে চলমান একটি বিশেষ তদন্ত স্থগিত এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়াও, জুবায়েরকে 'টুইট করা থেকে বিরত রাখতে' উত্তর প্রদেশ সরকারের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালত।

টুইটের জন্য ২ কোটি রুপি পেয়েছেন, নিজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়ে জুবায়ের বলেছেন, তদন্তকালে তাকে কেউ এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি।

'আমি মুক্তি পাওয়ার পরই এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরেছি', বলেন তিনি।

বহু পুরোনো একটি হিন্দি সিনেমার একটি দৃশ্য টুইট করার অপরাধে দিল্লি পুলিশ গত ২৭ জুন জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে তার বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহরে আরও ৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর বিরুদ্ধে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার অবমাননাকর টিভি মন্তব্য টুইট করার পর জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সেই টুইট নয়, অপরাধ হিসেবে পুলিশ দাখিল করে ২০১৮ সালে করা তার অন্য একটি টুইট। ওই টুইট ছিল ১৯৮৩ সালে তৈরি ও প্রদর্শিত হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা 'কিসিসে না ক্যাহনা'র একটি স্ক্রিন শট।

যাতে দেখা যায়, 'হানিমুন হোটেল' নামের এক হোটেলের সাইনবোর্ড নতুনভাবে রং করে 'হনুমান হোটেল' করা হয়েছে। সেই ছবিজুড়ে টুইটে জুবায়ের লিখেছিলেন, '২০১৪ সালের আগে হানিমুন হোটেল, ২০১৪ সালের পর হনুমান হোটেল।'

দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, ওই টুইটের মাধ্যমে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে দাঙ্গা বাধানোয় প্ররোচনা জুগিয়েছেন। যদিও গত ৪ বছরে ওই টুইটের কারণে ভারতের কোথাও কোনো রকম উত্তেজনা দেখা দেয়নি।

Comments