‘অধিকার’-এর নিবন্ধন নবায়নের রিট হাইকোর্টে খারিজ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন 'অধিকার'–এর নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে যে রিট করা হয়েছিল তা আজ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১৫ সালের মার্চে অধিকার-এর নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়। গত ৫ জুন সংস্থাটির নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। বলা হয়, সংস্থাটি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুনের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে, যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে নষ্ট করেছে।

যেসব সংগঠন গুম নিয়ে নিয়মিত মামলা এবং সেসব ঘটনা নিয়ে ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, অধিকার তার মধ্যে অন্যতম। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে সাহায্য ও তাদের সংগঠিত করার কাজও করে অধিকার।

নিবন্ধন নবায়নের আবেদন না মঞ্জুর করার ব্যাপারে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবের কার্যালয়ে আপিল করা হয়েছে জানিয়ে আজ বুধবার অধিকারের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া আদালতে রিট না চালানোর কথা বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্টের রায়ের পর আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর অধিকার পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে 'অধিকার'- এর কোনো আইনি বাধা নেই। কিন্ত নিবন্ধন নবায়ন না হলে অধিকার শুধু বিদেশি অনুদান পাবে না'

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'চলতি বছরের ৫ জুন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ না করার কথা উল্লেখ করে অধিকার-এর নিবন্ধন নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানায় এনজিও বিষয়ক ব্যুরো।'

যোগাযোগ করা হলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মইনুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অধিকার-এর কোনো নিবন্ধন নেই। তাই সংস্থাটি এখন থেকে কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না।'

১৯৯৪ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত হয় মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকার'। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে সংস্থাটি নিবন্ধন নবায়নের জন্য আবেদন করে।

আবেদন মঞ্জুর না করায় সংস্থাটি ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করে। রিট আবেদনে অধিকার-এর নিবন্ধন নবায়নে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ মে রুল জারি করেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

Macroeconomic challenges to persist in Jul-Dec: BB

BB highlights inflation, NPLs, and tariff shocks as key concerns

3h ago