পেলোসির সফর ‘এক চীন’ নীতির গুরুতর লঙ্ঘন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ছবি: চীন দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ছবি: চীন দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে

এক বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আজ (আগস্ট ৪, ২০২২) জানান, গত ২ আগস্ট চীনের তীব্র বিরোধিতা ও কঠোর আপত্তি উপেক্ষা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের তাইওয়ান অঞ্চল পরিদর্শন করেন। এটি 'এক চীন' নীতি এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সই করা ৩ যোগাযোগ ইশতেহারের গুরুতর লঙ্ঘন।

আজ সকালে তার বক্তব্য চীন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।

বক্তব্যে আরও জানানো হয়, পেলোসির সফর চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন করে এবং 'তাইওয়ানের স্বাধীনতার' স্বপক্ষের বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর প্রতি ভুল বার্তা দেয় এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে এবং এর প্রতি কঠোর নিন্দা জানায়।

পৃথিবীতে একটি মাত্র চীন রয়েছে। তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র আইনি সরকার।

'এক চীন' নীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সার্বজনীন ঐকমত্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক আদর্শ। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির চীনের তাইওয়ান অঞ্চল সফর কেবল তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুতর অবমাননা করে না, সঙ্গে এ অঞ্চলে উত্তেজনা ও সংঘাতও সৃষ্টি করে। এটি ইতোমধ্যে অশান্ত বিশ্বে আরও অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে।

চীন ও বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার। উভয় দেশ সব সময় নিজ নিজ সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা সম্পর্কিত মূল স্বার্থের বিষয়গুলোতে একে অপরকে বুঝে চলেছে এবং সমর্থন জানিয়েছে।

'এক চীন' নীতির প্রতি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার ও 'তাইওয়ানের স্বাধীনতার' প্রতি দৃঢ় বিরোধিতার ভূয়সী প্রশংসা করে বেইজিং।

আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ 'এক চীন' নীতি মেনে চলবে। তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত অবস্থান বুঝবে এবং এর প্রতি সমর্থন জানাবে। আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি রক্ষায় চীনের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

8h ago