রোববার টরন্টোয় স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যাল

ছবি: সংগৃহীত

নানা দেশের সংস্কৃতির মাঝে সেতুবন্ধন তৈরির পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে লোকজ সংস্কৃতির শেকড়কে পৌঁছে দিতে রোববার টরন্টোয় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যাল'।

কানাডার আদিবাসী সংস্কৃতি থেকে শুরু করে অভিবাসী নানা কমিউনিটির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দিনব্যাপী এই আয়োজনের উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে থাকবে বাংলাদেশি সংস্কৃতির পরিবেশনা।

স্কারবোরোর থমসন মেমোরিয়াল পার্কে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে ব্যতিক্রমী এই উৎসব।

'পরম্পরা কানাডা' আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কমিউনিটি থেকে ১২৫ জনের মতো স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও কানাডার বিভিন্ন শহর এবং অন্যান্য দেশ থেকে ১৫ জন আমন্ত্রিত শিল্পী অংশ নিবেন। কানাডা সরকারের প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান হেরিটেজের সহযোগিতায় এই উদ্যোগের  চ্যারিটি পার্টনার স্কারবোরো হেলথ নেটওয়ার্ক।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি সংগঠনগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো সাধারণত বাংলাদেশি কমিউনিটির অংশগ্রহণের মধ্যেই সীমিত থাকে। এই প্রথম 'পরম্পরা কানাডা' সব কমিউনিটির অংশগ্রহণে একটি উৎসবের আয়োজন করেছে।

এ প্রসঙ্গে আয়োজক সংগঠন 'পরম্পরা কানাডা'র সম্পাদক  জ্যোতি দত্ত পূরকায়স্থ বলেন, সংস্কৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন কমিউনিটির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন, সম্পর্কোন্নয়ন এবং সুস্থ সংস্কৃতি চর্চাকে উৎসাহিত করতে স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন। এই উৎসব নিজেদের পরিমন্ডলের বাইরের সংস্কৃতিকে জানতে এবং বুঝতে সহায়তা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আয়োজকরা জানান, স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যাল আয়োজন এবং ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কমিউনিটির নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। এমন কি উৎসবের উপস্থাপনায়ও থাকছে নতুন প্রজন্ম। এরা হলেন মৈনাক সেন, অনিন্দিতা বর্ণমালা এবং জ্যোতি দত্ত পূরকায়স্থ। এছাড়াও স্কারবোরো তরুণদের পরিবেশনায় থাকছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

পুরো আয়োজন নিয়ে স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যালের শিল্প পরিচালক উজ্জ্বল দাশ বলেন, বর্ণবাদ এবং বর্ণ বৈষম্য মোকাবিলা, আন্তঃসাংস্কৃতিক এবং আন্তঃধর্মীয় সহমর্মিতা দৃঢ় করার মাধ্যমে কানাডিয়ান সমাজে নিজের স্বতন্ত্র নিয়ে অংশগ্রহণের ন্যয়সঙ্গত সুযোগ তৈরির পক্ষে জনমত তৈরি এই ফেস্টিভ্যালের অন্যতম লক্ষ্য।

স্কারবোরো ফোক ফেস্টিভ্যালকে একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আয়োজকরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছেন বলে উল্লেখ করে উজ্জ্বল দাশ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

1h ago