তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল মন্তব্য করেছে, সরকার একদিকে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়াচ্ছে, অপরদিকে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে যখন দেশের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা কথা বলছে, আন্দোলন করছে তখন আন্দোলন দমনে পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিচ্ছে। 
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ চলার সময় রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল মন্তব্য করেছে, সরকার একদিকে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়াচ্ছে, অপরদিকে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে যখন দেশের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা কথা বলছে, আন্দোলন করছে তখন আন্দোলন দমনে পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিচ্ছে। 

একইসঙ্গে প্রগতিশীল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন তারা।

আজ সোমবার গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস এক বিবৃতিতে এক কথা বলেন।

প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনে পুলিশের হামলার আচরণের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এ বছরেই দুইবার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য যখন পড়তির দিকে তখন সরকার আমাদের দেশে রেকর্ড পরিমাণ তেলের মূল্য বাড়াল। ভারতে তেল পাচার, আই এম এফের ঋণ, রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের অজুহাত দেখিয়ে তেলের দাম বাড়ালেও আসল কথা হচ্ছে দেশের রিজার্ভ খালি। এমতাবস্থায় ভর্তুকি প্রত্যাহার ছাড়া সরকারের উপায় নাই। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের মেগা প্রকল্প থেকে যে মেগা লুটপাট হয়েছে তার ভার এখন বহন করতে হচ্ছে  জনগণকে। সামনে বিদ্যুৎ, পানি, ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইতোমধ্যে। এমস সংকটে জনগণের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা তখন সরকার জানে, এই বিক্ষুব্ধ জনগণ তার জন্য কতটা ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসতে পারে। তাই সকল আন্দোলনের টুঁটি চেপে ধরতে তৎপর হচ্ছে তার পোষা পুলিশ বাহিনী।

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, মামলায় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে 'বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেলসহ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে গুরুতর রক্তাক্ত ও হাড়ভাঙা জখমের' অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ পুলিশই কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে ছাত্রদের ওপর হামলা করে তাদের আহত করে। বিগত সময়েও শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ সরকারের পক্ষ হয়ে আন্দোলন দমন করেছে। কিন্তু, শিক্ষার্থীরা দ্বিগুণ শক্তিতে রাজপথে পড়ে থেকে তাদের দাবি আদায় করেছে। তাই এবারেও এই সরকার ও তার পুলিশ বাহিনী হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে ছাত্রসমাজকে রাজপথ ছাড়া করতে পারবে না।

এর আগে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভে পুলিশি হামলায় ২০ জন আহত ও একজন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনা আজ শাহবাগ থানায় প্রগতিশীল  ছাত্রসংগঠনের ২১ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

Comments