বি,সিবির অবসর নিষেধাজ্ঞা; খেলোয়াড়রা শুধু বিশ্রাম নিতে পারবেন

ডিসক্লেইমার: বাংলাদেশি ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্বশীল ছবি। তবে, গল্পটি অন্যদের। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এখন থেকে কোনো ক্রিকেটারকে আর অবসরে যেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে, দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ক্রিকেটার ও বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে অব দ্য রেকর্ডে কথা বলেছেন বলে দাবি করা কয়েকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, যারা বোর্ডের দায়িত্বে আছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে তারা এক সময়ের জনপ্রিয় খেলোয়াড়দের অবসরে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।

তবে, আরও সঠিকভাবে বললে, দ্য ডেইলি স্টারের স্যাটায়ারডের অবৈতনিক মনোবিজ্ঞানী ম্যাট হাইম আলিশ বলেছেন, 'সবশেষ সিদ্ধান্তটি বোর্ড, ক্রিকেট বোর্ডের (বি,সিবি) প্রেসিডেন্ট কামরুল হাসান ফাঁপার কাছ থেকে এসেছে; কারণ তিনি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয়ে আছেন।'

''আমি একটি বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য গুলখানে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম, যেহেতু তিনি একজন আইনপ্রণেতা। কিন্তু তিনি আমাকে আসতে দিচ্ছিলেন না। আমি যখন দরজার বাইরে বেরুচ্ছিলাম, ফাঁপা ভাই বলেন, 'ঠিক আছে, তাহলে তুমি কালকে আসছো? আমি লোকজনকে বলবো ভালো করে লাঞ্চ রেডি করতে', যদিও তখন আমি না বলেছিলাম।'

অবশেষে আমাকে বলতে হয়েছিল যে, পরের দিন দুপুর ২টায় যাব। এরপর সেই রাতে দেশ থেকে উড়ে আসি। ঘটনা হলো, তিনি জানতেন যে আমি সেই রাতে দেশ ছাড়ছি, কারণ আমি তার কাছ থেকে ভ্রমণ-সংক্রান্ত কিছু ওষুধের বিষয়ে পরামর্শ নিতে গিয়েছিলাম, আলিশ সেখানে নিরাপদে পৌঁছানোর পর ইমো কলে স্যাটায়ারডেকে এই তথ্য জানান।

আলিশ আরও জানান, সারা জীবন ধরে ফাঁপা যে ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন, তা হারানোর ভয় এবং তার অর্জিত জ্ঞান কোন কাজে লাগবে সেটা না জানার উপলব্ধি থেকে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার ভীতি তৈরি হতে পারে।

৫১ বছর বয়সী একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় ও বি,সিবি পরিচালক যিনি একই সঙ্গে দলের অধিনায়ক, কোচ, সহকারী কোচ, হেয়ারড্রেসার এবং ফিটনেস প্রশিক্ষক তিনি গণমাধ্যমকে বি,সিবির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। টিভি ক্যামেরার সামনে কথা বললেও তিনি নাম প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তবে স্যাটায়ারডের সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তার পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি সাবেক অধিনায়ক সালেহ মুনমুন সুনাজ।

'টি-টোয়েন্টি থেকে মতিন ইকবাল ও টেস্ট থেকে মাহমুদ রায়ানের অবসরের পর আমরা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। আপনি কি জানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা কতটা সম্মানের বিষয়? জাম্বিয়া থেকে জুম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সুনাজ।

'আমার যদি অন্য দায়িত্ব না থাকতো এবং তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দেওয়ার প্রয়োজন না হতো তাহলে আমি এখনো খেলতাম এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের চেয়ে ভালো খেলতাম।'

'যখন একজন খেলোয়াড় অবসর নেন, তখন তিনি মূলত আমাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। আর ফাঁপা ভাই সেটা পছন্দ করেন না। খেলোয়াড়রা সব সময় তার বাড়িতে যান এবং এই দেখা-সাক্ষাৎ অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফাঁপা ভাই চান খেলোয়াড়রা নিয়মিত তার বাড়িতে যাতায়াত করুক। দয়া করে এটা কাউকে বলবেন না।' তিনি টিভি ক্যামেরার সামনে এসব কথা বলেন।

'সবশেষে বলতে হয়, যখন 'বড় মাপের' কোনো খেলোয়াড়কে দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তখন আপনারাই গালাগাল দেন। সুতরাং, দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সম্মানজনক বিষয়টি মাথায় রেখে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে— এখন থেকে আর কোনো খেলোয়াড় অবসর নিতে পারবেন না। যখন তাদের পারফরম্যান্স কিছুটা বিশ্রাম এবং বিনোদন নেওয়ার মতো হবে, বি,সিবি তখন তাদের বিশ্রামে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে। এইভাবে আমাদের খেলোয়াড়দের পাইপলাইন শক্তিশালী থাকবে।'

'তাছাড়া বিদায় বা বিশ্রাম নেওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। একজন অধিনায়ক, ধরুন তার নাম রায়ান; একটা ফর্মাট থেকে বিশ্রাম দেওয়ার পরের সপ্তাহে ইনজুরিতে পড়া নতুন অধিনায়কের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তাকে ডাকা যেতে পারে। তবে তিনি দায়িত্ব পাবেন না। অরেকজন অধিনায়কের অধিনে তাকে এক ম্যাচ খেলতে হবে। এরপর যদি তিনি বিষয়টিকে অপমানজনক মনে করেন, তাহলে কিছু দিনের জন্য বিশ্রাম নিতে পারেন। তিনি এটা পাওয়ার যোগ্য।'
 

Comments

The Daily Star  | English
US tariffs impact on Bangladesh economy

Can Bangladesh ride out the wave of US tariffs?

Trump's announcement sent businesses scrambling. Orders froze. Buyers demanded discounts. Stock markets plummeted.

11h ago