অলিভিয়ার সম্মানে গোলাপি রঙে রেঙেছে অপেরা হাউস

গোলাপি রঙে রাঙানো সিডনি অপেরা হাউস ও অলিভিয়া নিউটন। ছবি: সংগৃহীত

সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তি পপ তারকা ও অভিনেত্রী অলিভিয়া নিউটনের সম্মানে সিডনি অপেরা হাউস গোলাপি রঙে রাঙিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘ ৩ দশক ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে হলিউডের কিংবদন্তি এই শিল্পী গত ৮ আগস্ট দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার নিজের খামারবাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। সত্তরের দশকের সেরা পপ তারকাদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় অলিভিয়াকে। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে অলিভিয়া নিউটনের অল্পবিস্তর পরিচিতি থাকলেও ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'গ্রিজ' চলচ্চিত্রে স্যান্ডি চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পান তিনি। সিনেমায় জন ট্রাভোল্টার সঙ্গে গাওয়া 'ইউ আর দ্য ওয়ান দ্যাট আই ওয়ান্ট'এবং 'সামার নাইটসে' গানদুটি হিট হয়েছিল।

অলিভিয়ার গানের অ্যালবাম লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তিনি উঠে আসেন বিলবোর্ডের টপচার্টে। ৪ বার গ্র্যামি পুরস্কার পান তিনি।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে প্রথম স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন অলিভিয়া। পরে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে আরও ২ বার ক্যানসার শনাক্ত হয় তার। ক্যানসার নিয়ে প্রচারক হিসেবে একটি ফাউন্ডেশনও প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে জন্ম নেওয়া অলিভিয়া ৫ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে পাড়ি জমান। তিনি অভিনয় ও সংগীতের পাশাপাশি সহানুভূতি এবং উদারতা দিয়ে বিশ্বের মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেন।

নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটেট জানান, ক্যান্সার গবেষণা ও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অলিভিয়ার অবদানকে স্বীকৃতি দিতে অপেরা হাউস গোলাপি রঙে রাঙানো হয়েছে।

প্রিমিয়ার আরও বলেন, 'অলিভিয়া তার জীবদ্দশায় ইতিবাচকতার সঙ্গে পথ চলেছেন। তাই আমাদের সবচেয়ে বিখ্যাত পারফরম্যান্স স্পেসটি (অপেরা হাউস) তার সম্মানে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।'

ষাটের দশকে 'অস্ট্রেলিয়ান রক অ্যান্ড রোল আইকন' নামের একটি টেলিভিশন প্রতিযোগিতায়  অংশ নিয়ে অলিভিয়া অস্ট্রেলিয়ান আইকনের খ্যাতি অর্জন করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় তার ক্যারিয়ার।

নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের শিল্পকলামন্ত্রী বেন ফ্র্যাঙ্কলিনের ভাষ্য, 'অলিভিয়া নিউটন ছিলেন একজন শিল্পের আইকন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন এবং ভবিষ্যতেও তাদের অনুপ্রাণিত করতে থাকবেন।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago