বাংলাদেশিকে হত্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ২ নাগরিকের ১৫ বছর জেল
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী শহিদুর রহমানকে (৪৭) হত্যায় দায়ে দেশটির ২ নাগরিককে ১৫ বছরের সাজা দিয়েছে ডারবানের একটি আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের একজন কারাগারে এবং অন্যজন পলাতক।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পু্লিশ। এর মধ্যে একজন কারাগারে আত্মহত্যা করেন। আরেক আসামি পলাতক।
গত শুক্রবার ডারবানের আদালতে কাঠগড়ায় থাকা আসামি কানকেনইয়েজি সেগাটলির সামনে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
বাংলাদেশি কমিউনিটির সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কেরানীগঞ্জের শহীদুর রহমান ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডারবানে বসবাস করছিলেন। ডারবানের অদূরে কাঠের ব্যবসা ছিল তার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৭ জুলাই শহিদুর রহমান ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। প্রায় ১৫ দিন পর তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে শহিদুর রহমানের স্ত্রী হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ দক্ষিণ আফ্রিকার ও মোজাম্বিক সীমান্ত এলাকা থেকে শহীদুর রহমানের গাড়ি উদ্ধার করে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অন্যতম আসামি কানকেনইয়েজি সেগাটলিকে গ্রেপ্তার করে। শহিদুর রহমানের কাঠের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নকেনইয়েজি সেগাটলি।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে সেগাটলি জানায়, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে শহিদুর রহমানকে অপহরণ করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের তার সঙ্গে আরও দুই জন আফ্রিকান জড়িত ছিলেন।
পরে পুলিশ আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও তিনি কারাগারে আত্মহত্যা করেন। আরেক আসামি এখনো পলাতক।
নিহতের স্ত্রী উম্মে সালমা বলেন, মামলা নিয়ে আমাকে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আমার পাশে ছিল।
'আমার ছেলেরা বাবার হত্যাকারীর সাজা দেখে কিছুটা হলেও দুঃখ ভুলতে পারবে। আমি সৌভাগ্যবান বলে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে স্বামী হত্যার বিচার পেয়েছি', যোগ করেন উম্মে সালমা।
ফারুক আস্তানা: দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সাংবাদিক
Comments