‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে নোটিশ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: অভিনয়শিল্পী সংঘ

হাওয়া সিনেমার পোস্টার, সংগৃহীত

'পরাণ' ও 'হাওয়া' সিনেমা দিয়ে আবারও হলে ফিরতে শুরু করেছেন দর্শক। টিকিট নিয়েও তৈরি হয়েছে হাহাকার। স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, ঢাকাই চলচ্চিত্র কিছুটা হলেও মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ঠিক তখনি 'হাওয়া' সিনেমার শো বন্ধের আইনি নোটিশ দিয়েছেন এক আইনজীবী।

সিনেমাটিতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনসহ 'ভায়োলেন্স' ও 'অশ্লীলতা' ছড়ানোর অভিযোগ এনে ওই নোটিশ দেওয়া হয়।

তবে, চলচ্চিত্রের কোনো সংগঠন ওই নোটিশের  প্রতিবাদ জানায়নি, হাওয়ার পাশে দাঁড়ায়নি। তবে, এ বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন 'অভিনয়শিল্পী সংঘ'। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানের স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এই ঘটনাকে চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যখন কয়েকজন তরুণ, মেধাবী, শিক্ষিত শিল্পী, নির্মাতার হাত ধরে ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার নতুনভাবে একটু একটু করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে, আবার যখন সিনেমা হলে মানুষের জোয়ার নেমেছে, মানুষ দলে দলে সিনেমা দেখতে আসছে, ঠিক তখনই এ জোয়ার বন্ধ করার ষড়যন্ত্র নিয়ে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এই অশুভ শক্তি বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য জঘন্যতম তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এবার তারা আইনের ধারা উপধারাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যে 'হাওয়া'য় পুরো বাংলাদেশ ভাসছে, সেই 'হাওয়া'কে রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের নকশা নিয়ে উপস্থিত।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

6h ago