কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে দুদকের অভিযান, বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের স্মারকলিপি

কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। আজ বুধবার ওই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে ‘দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ’ এর অভিযোগ তুলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল ইউনিট।
ছবি: সংগৃহীত

কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। আজ বুধবার ওই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে 'দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ' এর অভিযোগ তুলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল ইউনিট।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার দুদক সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহাসহ কয়েকজনের একটি দল বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে অভিযান চালায়। সেসময় মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুম আহম্মেদসহ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন বরিশালের উপপরিচালক দেবব্রত মণ্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কমিশনের হটলাইন নম্বরে একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেছেন, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্দিষ্ট কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তার হাসপাতালে ঠিকমতো আসেন না। তারা নিজস্ব চেম্বারে প্রতিদিন তিন শতাধিক রোগী দেখলেও হাসপাতালে ঠিকমতো রোগী দেখেন না। এই অভিযোগ পাওয়ার পর সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহাসহ ৫ জনের একটি টিম মঙ্গলবার সকাল ৯টায় অভিযানে গিয়ে হাসপাতালে কোনো ডাক্তার পাননি।'

দুদকের আরেক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেসময় কয়েকজন ইন্টার্ন ডাক্তারকে শুধু কাজ করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরে কয়েকজন ডাক্তার ছুটে আসেন। পরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গেলে তাকেও পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষণ পরে তিনি আসলে তার কাছে বায়োমেট্রিক হাজিরা চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া সেটি দিতে অপরাগতা জানান। এমনকি তিনি দুদকের কাজে কোনো সহযোগিতাও করেননি।'

'এরপর হাসপাতালের অনেক ডাক্তার ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে এসে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করেন। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিযান অসম্পূর্ণ রেখেই দলটি সেখান থেকে চলে আসে। প্রাথমিকভাবে আমরা সিনিয়র বেশ কিছু ডাক্তারের কর্মক্ষেত্রে দেরি করে আসা ও অফিস চলাকালীন সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগ পেয়েছি। আমরার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পুরো বিষয়টির রিপোর্ট পাঠিয়েছি।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, 'আমরা থার্ড গ্রেডের কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও এই টিমের সহকারী পরিচালক আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।'

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুনীর্তি দমন কমিশন অভিযানের পর ডাক্তাররা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলে দুদক টিম ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

Comments