দ. আফ্রিকায় ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণে ছাড়া পেলেন অপহৃত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী

কেপটাউনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আক্তার প্রধান। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের ব্যস্ত সড়ক থেকে অপহৃত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আক্তার প্রধান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরেছেন। 

৪ লাখ রেন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা) মুক্তিপণ দিয়ে তিনি ফিরতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত থাকা বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা।

বাংলাদেশ হাইকমিশন অপহৃত প্রবাসী বাংলাদেশির ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তদন্তের আগে মুক্তিপণের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

গত ২৭ আগস্ট কেপটাউনের মিচেল প্লেন এলাকার ব্যস্ত সড়কে গাড়ি থামিয়ে জোর করে আক্তার প্রধানকে ৪ যুবক গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।

২ দিন পর স্বজনদের কাছে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে ২০ মিলিয়ন রেন্ড (স্থানীয় মুদ্রা) মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় ৮ সেপ্টেম্বর আক্তার প্রধান মুক্ত হয়ে শহরে ফেরেন। বর্তমানে তিনি কেপটাউনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

আক্তার প্রধানের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে কেপটাউনে গ্রোসারি ব্যবসা করছেন।

অপহরণের পর তাকে উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেন বাংলাদেশি মুক্তবাংলা ফাউন্ডেশনের প্রধান উদ্যোক্তা শফিকুর ইসলাম।

মুক্তিপণের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, 'আক্তার প্রধানকে উদ্ধারের জন্য আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাই। কিন্তু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত মোটা অংকের মুক্তিপণেই তার মুক্তি মিলল।'

তিনি আরও জানান, আক্তার প্রধান অপহরণ ও মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসার ঘটনার পেছনে এক বাংলাদেশি জড়িত আছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

'তাকে ধরতে মাঠে নেমেছে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন', যোগ করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর অপহরণের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তা বেশ আলোড়ন তোলে। এ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রবাসীরা জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অপহরণ ও মুক্তিপণের দিয়ে ফিরে আসার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে।

লেখক: দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago