নিউইয়র্কে ঢাবির শতবর্ষ উদযাপন

২ পর্বে সাজানো এই আয়োজন শুরু হয় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উদযাপন করেছে সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট ক্লাব, ইউএসএ'।

স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাবেক ঢাবি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় নিউইয়র্ক উডসাইডের গুলশান টেরেসের অনুষ্ঠানস্থল।

২ পর্বে সাজানো এই আয়োজন শুরু হয় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। ৩৭-৩৮ অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ প্লাজার সামনে থেকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বাঁশি-ঢোল সহকারে নেচে-গেয়ে আয়োজনটিকে আনন্দঘন করে তোলেন।

পরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন গ্র্যাজুয়েট ক্লাবের আহ্বায়ক মো. মাসুদুল ইসলাম।

সন্ধ্যায় কেক কাটার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। মহুয়া মৌরি ও মুহাম্মদ শফীর সঞ্চালনায় অতিথিদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম, ডেপুটি কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল ইসলাম ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ম্যানেজিং অফিসার লোকমান হোসাইন।

সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ছবি সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েট ক্লাবের সদস্য মো. রোকানুজ্জামান ও মহসিন উদ্দীন মোল্লাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকে ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, 'আমি এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছি কনসাল জেনারেল হিসেবে নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে। যখন থেকে এই অনুষ্ঠানের খবর পেয়েছি, তখন থেকেই এই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ছিলাম। আমার মনের আঙিনায় এখন ভাসছে সেই টিএসসি, কলাভবন, নীলক্ষেত, মলচত্বর, কার্জন হল, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি আর রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের প্রতিটি স্মৃতি।'

স্বাগত বক্তব্যে গ্রাজুয়েট ক্লাবের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে সত্য সুন্দর ও উজ্জ্বল আগামীর স্বপ্ন। জীবনের অনিবার্য ডাকে আমরা হয়তো ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে এসেছি। তবে আমরা জানি, বিশ্ববিদ্যালয় কখনো প্রাক্তন হয় না। এই গ্রাজুয়েট ক্লাবের মাধ্যমে আমরা আবার সবাইকে এক সুঁতোয় গাঁথবো।'

অনুষ্ঠান শেষে আয়োজকদের ফটোসেশন। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল তথ্যচিত্র প্রদর্শন, বক্তৃতা, স্মৃতিচারণ, দলীয় ও একক সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, ফ্যাশন শো, নৃত্য পরিবেশনা, ক্যাম্পাসভিত্তিক নাটিকা ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং র‌্যাফেল ড্র।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত একটি স্মরনিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এটি সম্পাদনা করেছেন মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সিলভিয়া সাবেরীন ও মামুন রশীদ।

লেখক: নিউইয়র্কপ্রবাসী চিত্রকর

Comments

The Daily Star  | English

Why was July 2025 wetter in Bangladesh?

Bangladesh experienced three low-pressure systems on July 7, July 14 and July 24 which led to heavy rain

25m ago