বরিশাল-ঢাকা নৌপথ: লোকসান এড়াতে প্রতিদিন চলবে ৩টি লঞ্চ

লঞ্চ
ফাইল ছবি

লোকসান এড়াতে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে এবার প্রতিদিন ৩টি করে লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা। 

সংস্থার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গত মঙ্গলবার সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে আজ বুধবার থেকে এটি কার্যকর হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও যাত্রী সংকটের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরিশাল-ঢাকা নৌপথের লঞ্চগুলোকে ৬টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে ৩টি এবং বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ৩টি লঞ্চ চলাচল করবে।

'তবে এটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়' উল্লেখ করে জানিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, 'পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করেছে। সেতু চালু হওয়ার পর কিছুটা যাত্রী কমেছিল, তবে তাতে তেমন প্রভাব পড়েনি নৌরুটে। কিন্তু এরপর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। আর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নৌপথের লঞ্চগুলোতেও ভাড়া বাড়ানো হয়। ভাড়া বৃদ্ধির পর থেকে যাত্রী কমতে থাকে। কোন লঞ্চ কোম্পানিই তাদের খরচ তুলতে পারছে না।'

তিনি বলেন, 'আমাদের ব্যাংক লোন আছে। খরচ পুষিয়ে না উঠতে পারলে ব্যাংকের চাপ বাড়বে। তাই বরিশাল-ঢাকা নৌরুট ধরে রাখতে বিভিন্ন উপায় খোঁজার চেষ্টা করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'বেশিরভাগ মালিকের মনে হয়েছে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে যাত্রীসেবা দিলে হয়ত লোকসান কমবে। তবে সেটাও যে এ মুহূর্তে প্রয়োগ হবে এমনটা নয়।'

প্রয়োজনে এ সেক্টরের জন্য লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জ্বালানি তেলে ভর্তুকির দাবিও জানানো হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

লঞ্চ মালিকরা জানান, লঞ্চের যাত্রীর সংখ্যা পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর অর্ধেকে নেমে গেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
IMF sets new loan conditions

Bangladesh needs more time for fully flexible exchange rate, says IMF

Bangladesh is currently going through a transition towards a fully flexible exchange rate regime, and the process may take time, said the International Monetary Fund (IMF).

9h ago