১০ দিনে হিমালয়ের ৪ চূড়ায় ২ বাংলাদেশি তরুণ

বাংলাদেশের পতাকা হাতে ২ পর্বতারোহী সালেহীন আরশাদী ও ইমরান খান অজিল। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ১০ দিনে হিমালয়ের পশ্চিম অংশের ৪টি পর্বত চূড়ায় আরোহণ করেছেন বাংলাদেশের ২ পর্বতারোহী সালেহীন আরশাদী ও ইমরান খান অজিল।

'গোজায়ান অভিযান লাদাখ' শীর্ষক অভিযানে ২ বাংলাদেশি পর্বতারোহী যে ৪টি পর্বত চূড়ায়আরোহণ করেন। সেগুলো হলো- কাং ইয়াতসে-২ (৬ হাজার ২৫৪ মিটার), জো জঙ্গো ইস্ট (৬ হাজার ২১৪ মি), রিগিওনি মাল্লাই রি-১ (৬ হাজার ১২০ মিটার) ও কঙ্গা রি (৫ হাজার ৭৫৫ মি)। 

অভিযানের উদ্দেশে দলটি গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছেড়ে যান এবং পরের দিন লাদাখের রাজধানী লেহ পৌঁছান।

ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও সাজ সরঞ্জাম সংগ্রহের পর দলটি ৮ সেপ্টেম্বর ট্রেকিং শুরু করেন। ২ দিন পরে কাং ইয়াতসে-২ বেস ক্যাম্পে পৌঁছান। ১২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে তারা আরোহণ শুরু করে এবং দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ২৫৪ মিটার উঁচুতে কাং ইয়াতসে-২ এর শীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হন।

এরপর দলটি তাদের বেস ক্যাম্প রিগিওনি মাল্লাই রি-তে স্থানান্তর করেন। ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে তারা সামিটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। টানা ১২ ঘণ্টা আরোহণের পর তারা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ১২০ মিটার উঁচু চূড়ায় আরোহণ করেন। 

ছবি: সংগৃহীত

১৯ সেপ্টেম্বর দলটি ৫ হাজার ৭৫৫ মিটার উচ্চতার কঙ্গা রিতে আরোহণ করেন এবং ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিটে এই জুটি ৬ হাজার ২১৪ মিটার উঁচু জো জঙ্গো ইস্ট চূড়ায় আরোহণ করে অভিযানটি সফলতার সঙ্গে শেষ করেন। 

একক অভিযানে একাধিক উচ্চ শৃঙ্গ আরোহণের এমন নজির বাংলাদেশি পর্বতারোহণের জন্য একটি নতুন মাইলফলক। এই অভিযানের সফলতা ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য একটি উচ্চ মাপকাঠি স্থাপন করেছে বলে জানান, অদ্রির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। 

'গোজায়ান এক্সপেডিশন লাদাখ' অভিযানটির আয়োজন করেছে পর্বতভিত্তিক অ্যাডভেঞ্চার কমিউনিটি অদ্রি। এ সংগঠনটি সূচনালগ্ন থেকেই কর্মশালা, প্রশিক্ষণ, প্রকাশনা এবং ফিল্ম প্রদর্শনির মাধ্যমে তরুণদের ট্রেকিং ও পর্বতারোহণের মতো চ্যালেঞ্জিং কার্যক্রম শুরু করতে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছে। 

ছবি: সংগৃহীত

অভিযানের মিডিয়া পার্টনার দ্য ডেইলি স্টার। এ ছাড়া ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ, দ্য কোয়েস্ট এবং বায়ো আরেকা লিমিটেডও এই অভিযানে সহযোগিতা করছে। 

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago