ঝুমনের জামিন আবারও নামঞ্জুর, উচ্চ আদালতে যাবে পরিবার

পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ঝুমন দাশের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন সুনামগঞ্জের আদালত।
ঝুমন দাশ আপন। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ঝুমন দাশের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন সুনামগঞ্জের আদালত।

আজ সোমবার সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বলে জানান ঝুমনের আইনজীবী পঙ্কজ কুমার।

তিনি বলেন, 'গত ১৯ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় আজ শুনানি হয় এবং বিচারক ঝুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।'

ঝুমন দাশের পরিবারের সম্মতিতে এবার জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।

ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ৩০ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঝুমন দাশকে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ের বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নেয় পুলিশ।

১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে থানায় আটকে রাখার পর মধ্যরাতে ঝুমন দাশকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন শাল্লা থানার উপ-পরিদর্শক সুমনুর রহমান। এ মামলায় পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এরপর ৪ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের নিম্ন আদালতে ঝুমন দাশের জামিনের আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে দেন বিচারক। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।

ঝুমন দাশের স্ত্রী সুইটি রানী দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আবারও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তারে তৃতীয় কোনো শক্তির হাত আছে। আমার স্বামীকে যেদিন দিনভর আটকে রেখে পরে মামলা দেওয়া হয়, সেদিনই আমরা বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। আমরা এখন জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।'

গত বছরের ১৬ মার্চ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সে রাতেই পুলিশ ঝুমন দাশকে আটক করে। পরদিন ১৭ মার্চ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে অন্তত ৯০ ঘর, ৪ মন্দিরে ভাঙচুর চালায় ও লুটপাট করে।

১৬ মার্চ ঝুমন দাশকে আটকের পর ২২ মার্চ শাল্লা থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল করিম বাদী হয়ে ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রায় ৬ মাস জেল খেটে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্ত হন ঝুমন। মামলাটি বর্তমানে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago