বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সমাধানে ধৈর্য ধরা ছাড়া কোনো উপায় নেই: তৌফিক ইলাহী

ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সমাধানে ধৈর্য ধরা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী।

আজ রোববার বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক আছে কিন্তু ফুয়েলের ঘাটতির জন্য আমরা পারছি না। আমাদের এখন ফরেন এক্সচেঞ্জ কনজাম করতে হবে। বিপদ কোন সময় কী আসে সারা পৃথিবীর। এর সঙ্গে একটি গ্রিড ফেল করেছিল। গ্রিড রিভাইভ করতে সময় লাগে। আমাদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে রিভাইভ হয়েছিল। পৃথিবীর অনেক দেশে ২-৩ দিন হয়ে গেছে। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের দিকে একটা গ্রিড ফেল করেছিল প্রায় ২৩০ মিলিয়ন লোক এফেক্টেড হয়েছিল। সেটাও অনেক সময় লেগেছিল।

আমি এটা বলবো, আমাদের সরকার সব সময় এ ব্যাপারে সচেতন। আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন, ইনশাল্লাহ যদি বিশ্ব পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলে তো আর কোনো প্রশ্ন ওঠে না। না হলে আমাদের ফুয়েল ঘাটতির জন্য আমাদের কষ্ট করতে হবে, বলেন তিনি।

অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংকট থাকবে বলা হয়েছিল, আরও কত দিন এই সংকট থাকতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ধারণা ছিল এই ইউক্রেন ওয়ার এতদিন চলবে না এবং আমার ধারণা ছিল আমাদের কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো চলে আসবে। এখন বিদ্যুতের বড় বড় কেন্দ্র নিয়ে এমন, আপনি ভাববেন দুমাস পরে আসবে কিন্তু ৬ মাসও লেগে যেতে পারে। আমার অ্যাসেসমেন্ট ছিল ঠান্ডা হয়ে গেলে আর কোল ফায়ার্ড দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট আসার কথা; একটি ঝাড়খন্ড থেকে আর আরেকটা আমাদের রামপাল, দুটিই পিছিয়ে গেছে। রামপাল এ বছরের শেষে আসতে পারে আর ঝাড়খন্ড আগামী বছরের শুরুতে আসতে পারে। ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে। শীত হলে হয়তো কিছুটা চাহিদা কমবে। সে হিসাবে কষ্ট একটু কমতে পারে কিন্তু আমাদের ধৈর্য ধরা ছাড়া উপায় নেই। এখন সবাই কয়লাবিরোধী তবু আমরা দেখলাম, যদি কয়লা করি তাহলে দুঃসময়ে কয়লাটা আসতে পারে। সে জন্য আপনারা দেখবেন, এই দুঃসময়ে কয়লাটা কাজে আসবে। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তো ধারণা নেই, সে জন্য আমরা আশা করছি অন্তত ১ হাজার মেগা ওয়াট সোলার আনবো ১ বছরের মধ্যে। তাহলে দিনের বেলা আমার ফুয়েল বাঁচবে।

তিনি আরও বলেন, একটু সময় দিতে হবে। সব তো আমরা এন্টিসিপেট করতে পারি না। বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করলে এর বিনিয়োগের জন্য একটা খরচ দিতে হবে। এটা হলো ক্যাপাসিটি চার্জ। আপনি বলতে পারেন, এখন তো বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে আছে। তাহলে আপনি বেশি করলেন কেন? উত্তর হলো, এসব ঘটনা যে ঘটবে এটা তো আমরা এন্টিসিপেট করিনি! একটা সুবিধা হলো, এর উত্তরণ হয়ে গেলে আমাদের অর্থনীতি আরও সচল হবে।

আরেকটা আমরা করছি, ভোলায় আমাদের কিছু গ্যাস বসে আছে। সেই গ্যাসগুলো সিএনজি করে এদিকে আনতে পারি কি না। আমরা আশা করছি, ৮০ এমএমসিএফটির মতো গ্যাস আমরা ভোলা থেকে আনতে পারবো। আমাদের যেসব কূপ আছে, আমরা সেগুলোর কাজ করছি, বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

4h ago