বাংলাদেশ-ব্রুনেইয়ের মধ্যে ১ চুক্তি ও ৩ সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও ব্রুনেই দারুসসালামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আজ রোববার ঢাকা ও বন্দর সেরি বাগওয়ান জ্বালানি, বিমান চলাচল, জনবল নিয়োগ এবং ২ দেশের নাবিকদের জন্য সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি সংক্রান্ত ৪টি দলিল স্বাক্ষর করেছে।
দলিলগুলোর মধ্যে একটি চুক্তি এবং বাকি ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও ব্রুনেই দারুসসালামের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর নথিগুলো স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং ব্রুনেই দারুসসালাম প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সে দেশের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ।
একমাত্র চুক্তিটি বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত এবং সমঝোতা স্মারকগুলো (এমওইউ) হলো- বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থান ও নিয়োগ, এলএনজি ও অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতা এবং সমুদ্রযাত্রীদের জন্য প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেশন এবং পর্যবেক্ষণের মান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক কনভেনশনের বিধানের অধীনে জারি করা সনদের স্বীকৃতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ব্রুনেই দারুসসালামের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
'বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত' চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং ব্রুনেইয়ের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অফিস মন্ত্রী এবং ব্রুনেইয়ের ফাইন্যান্স ও ইকোনোমি মন্ত্রী আমিন আবদুল্লাহ।
'বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ' বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে স্মারকে বাংলাদেশে পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং ব্রুনেইয়ের পক্ষে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদিন বিন হাজি আবদুল রহমান স্বাক্ষর করেন।
'এলএনজি এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য' সরবরাহ বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন ব্রুনেইয়ের প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং ফাইন্যান্স ও ইকোনমি মন্ত্রী আমিন আবদুল্লাহ এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
সমুদ্রযাত্রীদের জন্য প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেশন এবং পর্যবেক্ষণের মান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক কনভেনশনের বিধানের অধীনে জারি করা সনদের স্বীকৃতি বিষয়ক সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ব্রুনেইয়ের প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং ফাইন্যান্স ও ইকোনমি মন্ত্রী আমিন আবদুল্লাহ।
Comments