খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ

এবার ফেরার পথেও ভোগান্তির আশঙ্কা

সমাবেশ শেষে খুলনা ছাড়তে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ছবি: স্টার

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শেষে খুলনা ছাড়তে শুরুতে করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে যোগ দেওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে, তারা কীভাবে বাড়ি ফিরবেন তা জানেন না। কারণ, সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে।

যশোরের অভয়নগর থেকে আসা বিএনপি কর্মী রবিউল গাজী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সমাবেশস্থল ছেড়ে যশোরের দিকে রওয়ানা দিয়েছি। আমরা দৌলতপুর হয়ে অভয়নগর যাব। যেহেতু বাসসহ গণপরিবহন বন্ধ তাই দৌলতপুর পর্যন্ত হেঁটে যাব। ওখান থেকে সিএনজি বা ইজিবাইক পেলে তাতে বাড়িতে যাব। আর যদি না পাই তাহলে কীভাবে যান তা জানি না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা আশঙ্কায় ছিলেন মানুষ হয়তো আসতে পারবে না। কিন্তু সমাবেশে হাজিরা দেখে আমরা মনোবল ফিরে পেয়েছি।'

পাইকগাছার কপিলমুনি থেকে আসা ইসমত আরা বলেন, 'আমি নারীদের একটি দল নিয়ে সমাবেশে এসেছি। আমরা একসঙ্গে প্রায় ৩০-৪০ জন এসেছি। কপিলমুনি এখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বের পথ। ভালোভাবে যেন যেতে পারি  তাই আগে থেকেই রওয়ানা দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে কোনো গাড়ি নেই। আপাতত গল্লামারি পর্যন্ত হেঁটে যাব। আর গাড়ি না পেলে কীভাবে ফিরব তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে।'

এর আগে, যশোরের মনিরামপুর থেকে সমাবেশে যোগ দেওয়া আজির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মনিরামপুর থেকে জামিরা বাজার এসেছি ইজিবাইকে। তারপর ভ্যানে এসেছি ডুমুরিয়া পর্যন্ত। সেখান থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার হেঁটে সমাবেশে এসেছি। এবার কীভাবে যাব তা অনিশ্চিত।'

পুলিশের কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, 'আমাদের টহল আছে। অন্য কোনো সংগঠন বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাধা দিচ্ছে না। তারা নিরাপদেই ফিরতে পারবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

External balance swings to surplus after 3yrs

The country’s balance of payments returned to a surplus in the fiscal year (FY) 2024-25, ending a three-year spell of deficits.

11h ago