‘বেসরকারি গাড়ি চালাবে কি চালাবে না, সেটা আমার ব্যাপার না’

quader_23oct22.jpg
ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় ৪৮ ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেসরকারি গাড়ি চালাবে কি চালাবে না, সেটা আমার ব্যাপার না।

আজ রোববার দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) নির্মাণ তদারকি পরামর্শদাতা হিসেবে নিপ্পন কোই কোম্পানি টিএলডির (জাপান) নেতৃত্বে একটি যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মালিকরা ধর্মঘট দিয়ে বাস বন্ধ করে রেখেছে। রোড পারমিটের শর্ত অনুযায়ী, তারা সেটা করতে পারে কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমি যখন মন্ত্রী, তারা আমাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করেছে। তারা গাড়ি চালাবে-না চালাবে...বেসরকারি গাড়ি, আমি তো বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করিনি! বেসরকারি গাড়ি চালাবে কি চালাবে না, সেটা আমার ব্যাপার না।

এ ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্ব আছে কি না পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি যখন মন্ত্রী, আমার বিরুদ্ধে যখন করে তখন কী করবো? তখন আপনি আসেন আমার পক্ষে?

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আসেন, আমরা প্রস্তুত আছি। জনগণ যদি আপনাদের চায়, আপনারা ক্ষমতায় যান। জনগণ না চাইলে আমরা সেফ এক্সিট দেবো। দ্যাট উইল বি ডিসাইডেড ইন আওয়ার জেনারেল ইলেকশান। ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আর কারো নেই-ক্ষমতা আছে জনগণের। কয়েক হাজার লোক হলেও লাখ নয়, লাখ লাখ। চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহে কত লোক হয়েছে সাংবাদিকরা দেখেছেন। কাল খুলনায় কত লোক হয়েছে? লাখের কাছাকাছি হয়েছে? মোটেও না। চট্টগ্রামে হয়েছে লাখের কাছাকাছি। খুলনা-ময়মনসিংহে লাখ লাখের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বিএনপির সমাবেশে সরকার বাধা দেবে নাকি সহযোগিতা করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সহযোগিতাই তো করছে, পুলিশ সহযোগিতা করছে।

আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দেবে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাল্টাপাল্টিতে আওয়ামী লীগ নেই। বিএনপির সঙ্গে কীসের পাল্টাপাল্টি! আমরা আমাদের কর্মসূচিতে আছি। প্রতিদিনই আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে। আমাদের আজ একটা বড় সম্মেলন আছে। আগামীকালও আছে নারায়ণগঞ্জে। লাখ লাখ লোক দেখবেন? ওখানে আসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago