ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত বাগেরহাটের ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূল জুড়ে সকাল থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলবাসীর চিন্তাও বাড়ছে। তবে সিত্রাং মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূল জুড়ে সকাল থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলবাসীর চিন্তাও বাড়ছে। তবে সিত্রাং মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

গতকাল বিকেলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি সভায় বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, 'আমাদের ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্র ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ২৯৮ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন দেখা দিলেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হবে।'

এদিকে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সাবধান থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার মো. মহিউদ্দিন জামান।

তিনি বলেন, 'বঙ্গোপসাগর ও বিভিন্ন নদ-নদীতে থাকা নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় আমাদের এলাকায় আঘাত হানে তাহলে আশ্রয়কেন্দ্র অথবা কোস্টগার্ডের বেজ ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।'

Comments