জ্বালানি উপদেষ্টার অপসারণসহ দুর্নীতির জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবি বাম জোটের

বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি উপদেষ্টার কথাকে জনগণের সঙ্গে আরেক রসিকতা বলে উল্লেখ করে বাম জোটের নেতারা বলেছেন, ‘সরকারের লুটেরা, কমিশনভোগী ও গোষ্ঠী স্বার্থে নেওয়া ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণে আজ বিদ্যুৎখাতের এই মহাবিপর্যয়। এ দায় সরকারের। এ দায় জনগণ নেবে না।’
প্রতীকী ছবি।

বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি উপদেষ্টার 'অসহায়', 'দিনে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার' বক্তব্যকে জনগণের সঙ্গে আরেক রসিকতা বলে উল্লেখ করে বাম জোটের নেতারা বলেছেন, 'সরকারের লুটেরা, কমিশনভোগী ও গোষ্ঠী স্বার্থে নেওয়া ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণে আজ বিদ্যুৎখাতের এই বিপর্যয়।'

তারা বলেন, 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংকটের অন্যতম দায় জ্বালানি উপদেষ্টার। তাকে অপসারণ, ভুলনীতি ও দুর্নীতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে কথার্বাতা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকারই অপচেষ্টা।'

আজ সোমবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী)'র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, সিপিবি সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আব্দুল আলী প্রমুখ।

সভায় নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়, 'মুক্ত বাজারের নামে ব্যবসায়ীদের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখে, তাদের কাছে অনুনয়-বিনয় করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য আমদানি ও বিতরণ, দেশে উৎপাদিত পণ্যে কৃষকের লাভজনক দাম নিশ্চিত করে উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় করে উৎপাদন বাড়ানো ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এখনই গ্রাম শহরে রেশনিং ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে।'

সভায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশে বাধাদানের তীব্র সমালোচনা করে আগামী সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তদারিক সরকারের অধীনে সম্পন্ন করার জন্য ওই সরকারের রূপরেখা প্রণয়নের আলোচনা দ্রুত শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ধেয়ে আসছে। আগামীকাল সকালে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সভায় উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের জানমাল রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। একইসাথে ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাম জোটের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

Comments