কলাপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে আবারও ভাঙচুর, অভিযোগ আ. লীগের বিরুদ্ধে
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। শহরের নতুন বাজার এলাকার ওই কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় অফিসের টেবিল-চেয়ারসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়, তছনছ করা হয় পুরো কার্যালয়।
এ ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে উপজেলা বিএনপি।
এর আগে গত ২৭ আগস্টও বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছিল দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় মাগরিবের নামাজ চলছিল। হামলা-তাণ্ডব দেখে কার্যালয়ের পাশের দোকানদার, বাড়িঘরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দোকানদাররা দোকান বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে চলে যান।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি বিষয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা আজ বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়েছিলেন।'
'সভা শেষ করে যুবদলের নেতাকর্মীরা চলে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ৫০-৬০ জনের সন্ত্রাসী দল রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল, টিভিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে,' বলেন তিনি।
প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে এ হামলা-ভাঙচুর চলে বলে জানান তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন সিকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ হামলার জন্য আমরা আওয়ামী লীগকেই দায়ী করছি। কারণ হামলার সময় জয় বাংলা শ্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের পুরো অফিস ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। হামলা-ভাঙচুরের সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনসহ উপজেলা পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের নাম ধরে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'মূলত বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশকে বানচাল করতে আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে কোনো কিছুই এবার আমাদের রুখতে পারবে না।'
তবে বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কে বা কারা এ হামলা করেছে তা আমরা জানি না।'
যোগাযোগ করা হলে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ রকম একটি খবর আমি শুনেছি। তবে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে কি না, তা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।'
Comments