কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্থগিত করল রাশিয়া

পুনরায় শস্য রপ্তানি শুরুর পর ইথিওপিয়ার জন্য গম নিয়ে চোরনোমর্স্কের সমুদ্র বন্দর ছেড়েছে পানামা-পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার ইকারিয়া অ্যাঞ্জেল। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২। ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে হওয়া শস্য চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া। এই চুক্তিতে কৃষ্ণ সাগরের বন্দর ব্যবহার করে ইউক্রেনকে শস্য রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আজ রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরে ইউক্রেনের 'ব্যাপক' ড্রোন হামলার অভিযোগ তুলে রাশিয়া এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে, ইউক্রেন এই হামলার কথা স্বীকার করেনি এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এ উদ্যোগকে 'অনুমানযোগ্য' বলে অভিহিত করেছেন।

বিবিসি বলছে, এর আগে ব্রিটিশ সেনাদের বিরুদ্ধে শনিবারের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ করেছিল রাশিয়া।

রুশ অভিযোগের জবাবে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমওডি) বলেছে, রাশিয়া বড় ধরনের মিথ্যা দাবি করছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবারের হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলো শস্য চুক্তির সঙ্গে জড়িত জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে। একটি জাহাজের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

এর কয়েক ঘণ্টা পর রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ পক্ষ 'ব্ল্যাক সি ইনিশিয়েটিভ'-এর বেসামরিক শুকনো পণ্যবাহী জাহাজের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এর বাস্তবায়ন স্থগিত করা হলো।

এতে বলা হয়, এই উদ্যোগটি ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত। যা রাশিয়ান জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত এবং নির্দেশিত হয়েছিল।

মস্কো দাবি করেছে, ১৬টি আকাশ ও সামুদ্রিক ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে এবং কেবল একটি মাইনসুইপার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, তবে এখনো স্পষ্ট নয় যে এটিই আসল ঘটনা কিনা। কারণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাগশিপ ফ্রিগেটটিও আঘাত করা হয়েছিল। ফলে, দাবি এবং পাল্টা দাবি এই যুদ্ধের অংশ হয়ে উঠেছে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হয়নি। কারণ সেপ্টেম্বরে তারা আমাদের খাদ্যপণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে বাধা দিয়েছিল।

জেলেনস্কি বলেন, জাতিসংঘ এবং বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।

হোয়াইট হাউস বলেছে, রাশিয়া 'খাদ্যকে অস্ত্র' হিসেবে ব্যবহার করছে।

জাতিসংঘের এক মুখপাত্র বলেন, তুরস্কের সঙ্গে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী সংস্থাটি মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। 'ব্ল্যাক সি গ্রেন ইনিশিয়েটিভকে' বিপন্ন করে তুলবে এমন যে কোনো উদ্যোগ থেকে সব পক্ষকে বিরত থাকা জরুরি।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago