বটগাছটি দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বের প্রতীক: কেনেডি জুনিয়র

বটগাছ
ঢাবি ক্যাম্পাসে কলা ভবনের সামনের বটগাছটি সস্ত্রীক পরিদর্শ্ন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ কেনেডি জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের সামনে ১৯৭২ সালে একটি বটগাছ রোপণ করেছিলেন প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি। সেই গাছটি দেখতে আজ সোমবার সস্ত্রীক ঢাবি ক্যাম্পাসে যান কেনেডির ছেলে ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ এডওয়ার্ড (টেড) এম কেনেডি জুনিয়র।

এ সময় কেনেডি জুনিয়র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, 'আমার বাবা ১৯৭২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বটগাছের চারা রোপণ করেছিলেন। বটগাছটি দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।'

কলা ভবনের সামনের বটগাছটি আগামী দিনেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন বহন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে 'বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর স্মরণ' শীর্ষক বিশেষ বক্তৃতা প্রদান করেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাটাচি মিস শার্লিনা মরগান-হুসেন বক্তব্য রাখেন।

কেনেডি জুনিয়রকে ঢাবি ক্যাম্পাসে স্বাসগত জানাচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

এডওয়ার্ড এম কেনেডি জুনিয়র বলেন, 'বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত ৫০ বছর ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী ৫০ বছরে আরও শক্তিশালী হবে।'

তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, 'আমার বাবা বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৭১ সালের গণহত্যা সম্পর্কে আমাদের অনেক গল্প শুনিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে তিনি সাহসী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।'

'আমার বাবা ১৯৭১ সালে ভারতে শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরতার চিত্র তুলে ধরেছিলেন,' যোগ করেন তিনি।

এ সময় কেনেডি জুনিয়র মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তার বক্তব্যে বাবার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার জন্য এডওয়ার্ড এম কেনেডি জুনিয়রকে ধন্যবাদ জানান। 

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন সিনেটর কেনেডির অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে উপাচার্য বলেন, 'সে সময় বাংলাদেশের পক্ষে তিনি আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলেছিলেন।'

তিনি আরও বলেন, 'কেনেডি জুনিয়রের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

8h ago