নরসিংদীতে বিএনপির ১১ নেতার নামে আবারও বিস্ফোরক আইনে মামলা
বিস্ফোরক দ্রব্য, গান পাউডার, ককটেল ও ককটেল তৈরির সরঞ্জাম রাখার অভিযোগে নরসিংদী জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ জন নেতার বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
একই মামলায় সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ইমান হাসানকেও আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক মনির হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজহারে বলা হয় যে, আলোকবালী ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকার ওরফে কাইয়ুম মিয়ার বাড়ি থেকে গান পাউডার, ককটেল, হাতবোমা ও ককটেল তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম রাখার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন- নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য জাহেদুল কবির ভুইয়া ওরফে জাহিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, হাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নরসিংদী শহর যুবদলের সদস্য সচিব শামীম সরকার (শামীম), সদর থানা যুবদলের আহবায়ক হুমায়ুন কবির (রাসেল), আলোকবালী ইউনিয়ন শাখা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী, জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান, শহর যুবদলের আহবায়ক মো. সুমন, জেলা বিএনপির সদস্য ইলিয়াস আলী ভুইয়া ও বাবুল মিয়া এবং ছাত্রদলের সাবেক জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে নজরুল।
এর আগে গত মঙ্গলবার নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান হাসানকে তার নিজ বাড়ি থেকে ককটেল, হাতবোমা, গান পাউডার ও বোমা বানানোর সরঞ্জামসহ আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় আরেকটি মামলায় ইমান হাসানসহ বাকি যে ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে, তারাও প্রত্যেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এর পাশাপাশি দ্বিতীয় মামলার প্রধান আসামি আলোকবালী ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকারকেও এখানে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, বুধবার ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে আব্দুল কাইয়ুম সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। আগামী রোববার এ রিমান্ড আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা আছে।
এ বিষয়ে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভুইয়ার ভাষ্য, ঠিক কোন মামলায় আব্দুল কাইয়ুম সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।
সার্বিক বিষয়ে বিএনপির নরসিংদী জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, 'নরসিংদী জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে পুলিশ। এক্ষেত্রে ঘুরেফিরে একই নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।'
এছাড়া 'মিথ্যা মামলা' দিয়ে 'পুলিশি হয়রানির' নিন্দা জানান নরসিংদী সদর থানা বিএনপির সভাপতি আবু সালেহ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।
Comments