ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করতে চান পুতিন

ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ পর ক্রমশ এক ঘরে হয়ে পড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপসাগরীয় মিত্র ইরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছেন।
পুতিন ও রাইসি
ভ্লাদিমির পুতিন ও ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযানের' পর ক্রমশ এক ঘরে হয়ে পড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপসাগরীয় মিত্র ইরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ রোববার রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে গতকাল ফোন দিয়েছিলেন।

ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়, '২ দেশের নেতারা বেশকিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বিষয় আছে। এ ছাড়াও, পরিবহন ব্যবস্থা ও লজিস্টিকস নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'

তেহরান জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে 'মস্কোর আগ্রহকে 'স্বাগত' জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সম্প্রতি, মস্কোর সঙ্গে তেহরানের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক 'জোরালো' হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিবেশী ২ দেশের ওপর পশ্চিমের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরও জ্বালানি ও বাণিজ্যিক খাতে তাদের সম্পর্ক বিস্তৃত হয়েছে।

আগামী ডিসেম্বরে রাশিয়ার শীর্ষ জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গাজপ্রোমের সঙ্গে ইরানের ৪০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কথা আছে। চুক্তিতে বিনিময় প্রথার কথা বলা হয়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে, পশ্চিমের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এড়িয়ে দেশ ২টি জ্বালানি খাতে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারবে।

সাম্প্রাতিক সময়ে প্রতিবেশী দেশ ২টি ভূ-বেষ্ঠিত কাসপিয়ান সাগর দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৯ নভেম্বর রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলে পাতরুশেভ তেহরান সফর করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন।

পশ্চিমের দেশগুলোর ধারণা, এই পাতরুশেভের সফরের মধ্য নিয়ে মস্কো-তেহরান সামরিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে তেহরান ক্রেমলিনকে কামিকাজে ড্রোন দিয়ে সহায়তা করছে।

গত সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান বলেন, 'ইউক্রেন সংঘাত শুরুর আগেই তেহরান অল্প সংখ্যক ড্রোন রাশিয়াকে দিয়েছিল।'

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

9h ago