‘আমি লিখতে ভালোবাসি’ দিবস

যারা লিখতে ভালোবাসেন বা লেখালেখি শুরু করতে চান তারা আজকের দিনটিকে বেছে নিতে পারেন। কারণ আজ 'আমি লিখতে ভালোবাসি' দিবস। মনে রাখতে হবে বিখ্যাত লেখকদের লেখালেখিও হঠাৎ করে শুরু হয়েছিল। কেউ লেখক হয়ে জন্মায় না।

লেখক জন রিডল শিশুদের স্কুলে ও প্রাপ্তবয়স্কদের পুরানো স্বপ্ন পুনরুজ্জীবিত করতে 'আমি লিখতে ভালোবাসি' দিবসের প্রচলন করেন। এই বিশেষ দিনটি পশ্চিমা বিশ্বে বিভিন্ন সংস্থা উদযাপন করে। সুতরাং আপনার যদি লেখার প্রতি আগ্রহ থাকে আজ থেকে তার সূচনা হতে পারে। হতে পারে তা উপন্যাস বা কবিতা। আবার কোনো সংবাদপত্রে ফিচার লেখাও দিয়েও শুরু হতে পারে। মোট কথা আপনি যা লিখতে চান না কেন শুরুটা আজ থেকে হতেই পারে।

এই দিবসটির উদ্দেশ্য হলো মানুষকে লেখালেখির মতো সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখা। লেখালেখির মাধ্যমে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো। তা কাগজে হোক বা কম্পিউটারের কিবোর্ডে হোক। ছোট হোক বা বড় হোক।

২০০২ লেখক জন রিডল 'আই লাভ টু রাইট ডে' বা 'আমি লিখতে ভালোবাসি' দিবসের প্রচলন শুরু করেন। রিডল গত ৩০ বছর ধরে লিখছেন এবং এ পর্যন্ত মোট ৩৪টি বই লিখেছেন। লেখালেখির জন্য একটি দিবস তৈরির বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমার লক্ষ্য হলো সব বয়সের মানুষ যেন লেখালেখিতে সময় ব্যয় করে।'

তিনি বলেন, 'কেই চাইলেই একটি কবিতা, একটি প্রেমের চিঠি, একটি গ্রিটিং কার্ড, একটি প্রবন্ধ বা একটি ছোট গল্প লিখতে পারেন। কিংবা একটি উপন্যাসের প্রথম অধ্যায়টি আজ শুরু করতে পারেন।'

এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করার সর্বোত্তম উপায় হলো কিছু লেখা। এটি নির্দিষ্ট কিছু হতে হবে না, কিংবা খুব দীর্ঘও হতে হবে না। আর জন রিডল কিন্তু এটাই চেয়েছিলেন।

অনেকে মনে করেন লেখালেখি পুরো পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করতে হয়। তবে, এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। টনি মরিসন 'দ্য ব্লুস্ট আই' শেষ করতে ৫ বছর সময় নিয়েছিল। সংবাদপত্রে খুনের প্রতিবেদন পড়ে 'রান, রিভার' লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন জোয়ান ডিডিয়ন।

স্টিফেন কিংয়ের সম্মানিত হরর ক্লাসিক 'ক্যারি' প্রকাশের আগে ৩০(!) বার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। সুতরাং বুঝতেই পারছেন অনেক পরিচিত লেখকের শুরুটাও সাধারণভাবেই হয়েছিল। তাই কখনোই নিরুৎসাহিত হওয়া উচিত নয়। একইসঙ্গে লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

'Rab destroyed secret detention centres post August 5'

Finds Commission of Inquiry on Enforced Disappearances

53m ago