আমাদের দেশের পরিস্থিতি ভালো না: ইরান অধিনায়ক

Ehsan Hajsafi
ইরান অধিনায়ক এহসান হাজসাফি

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও ইরান ফুটবলারদের মন পড়ে আছে দেশে। সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে মাতৃভূমিতে, নিরাপত্তা বাহিনীয় হাতে নিহত ও আটক হয়ে চলেছে তাদের স্বদেশীরা। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নে ইরান অধিনায়ক এহসান হাজসাফি স্বীকার করে নিলেন ভালো নয় তাদের দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও খুশি নয় সেখানকার মানুষ।

এমন কঠিন সময়ে দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে মাঠের খেলাই একমাত্র অস্ত্র ইরান ফুটবলারদের হাতে। স্বদেশীদের কিছু ভালো ফল উপহার দিতে চায় তারা। দেশ থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও ইরানি জনগণের পাশে আছেন বলেই জানালেন হাজসাফি।

রোববার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ৩২ বছর বয়সী এই ফুলব্যাক বলেন, 'আমাদের মেনে নিতে হবে আমাদের দেশের পরিস্থিতি সঠিক (ভালো) নয় ও আমাদের জনগণ খুশি নয়। আমরা (পরিস্থিতি) অস্বীকার করতে পারি না- আমার দেশের অবস্থা ভালো নয় ও খেলোয়াড়রাও এটা জানে।'

গ্রিক ক্লাব এইকে এথেন্সের এই ফুটবলার আরও বলেন, 'আমরা এখানে আছি কিন্তু তার মানে এই না যে আমরা তাদের কণ্ঠ হবো না, অথবা আমরা তাদের সম্মান করবো না। আমাদের যাই আছে তাদের থেকেই পেয়েছি। আমাদের লড়তে হবে, আমাদের সাধ্যমতো সেরা পারফরম্যান্স করতে হবে ও গোল করতে হবে, এবং ইরানের সাহসী জনগণকে ফল উপহার দিতে হবে।'

এর আগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ইরানের শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানান হাজসাফি, 'সবকিছুর আগে, আমি ইরানের শোকাহত সকল পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাতে চাই। তাদের জানা দরকার আমরা তাদের পাশেই আছি, তাদের সমর্থন করি ও তাদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল।'

মানবাধিকার কর্মীদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে এখন পর্যন্ত ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৪০০ এর বেশি আন্দোলনকারী নিহত ও ১৬,৮০০ জন আটক হয়েছেন।

গত সেপ্টেম্বর মাসে হিজাব না পরায় কুর্দি নারী মাশা আমিনি নির্যাতনে মারা যান। এরপর থেকেই দেশটিতে শুরু হয় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ। হিজাব ছুঁড়ে ফেলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নামেন নারীরাও। এতে সমর্থন জানায় ইরানের জাতীয় ফুটবল দল। সরকারের রোষানলে থাকলেও সেই খেলোয়াড়দের নিয়েই বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করে ইরান। 

দেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতির মাঝে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় কাতারের আল রাইয়ান স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দেশটি।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago