গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ ২

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ,
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে।

উপজেলার চরাঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে এ হামলা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, হারুন অর রশিদ (৫৫), ফারুক(৪১), আব্দুস সাত্তার (৬২), নুরুল হক (৬৫), মোখলেস (৪৭) ও ফয়সাল (২০)। এদের মধ্যে হারুন-অর-রশিদ ও মোখলেস প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হয়েছেন।

গজারিয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, ২ দিন আগে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা আফসার উদ্দিনের ছেলে ফয়সালের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালুয়াকান্দির কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার রেশ ধরে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নয়নের নেতৃত্বে অন্তত ৩৫-৪০ জন হামলা চালায় কদমতলী গ্রামে।

এ সময় তারা গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সুরুজ মিয়া প্রধানের দুটি বসতঘরে ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় হারুন-অর-রশিদ ও মোখলেস গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় আরও ৩-৪ জন। হামলাকারীরা ফিরে যাওয়ার পথে ফয়সালকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম মৃধা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের হাসপাতালে মোট ৬ জন রোগী এসেছেন। তার মধ্যে হারুন-অর-রশিদ ও মোখলেসকে শর্টগান জাতীয় কিছু দিয়ে গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। বাকিদের গায়ে দেশীয় অস্ত্র এবং রড জাতীয় কিছুর আঘাত রয়েছে। আহতদের ২জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বাকি ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, 'ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে, কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনিনি।'

Comments