নরসিংদীতে আ.লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নরসিংদীর রায়পুরার শ্রীনগরে আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহতের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার মধ্যরাতে নিহত আজগর মিয়ার ছোট ভাই মো. হারিস মিয়া বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযোগটি রাতেই মামলা হিসেবে নেন। পরে এ মামলায় ওই এলাকার ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রায়পুরা থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

গত শনিবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আজগর আলী ঘটনাস্থলে মারা যান। এসময় ২ পক্ষের আরও ৫ জন আহত হন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রীনগর ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ২টি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে একটি পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. খালেক মিয়া এবং আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দেন রায়পুরা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শাহ আলম মিয়া। আব্দুল খালেক মিয়া শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য ও শাহ আলম মিয়া একই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।

স্থানীয়রা জানায়, ৫ মাস আগে গজারিয়াকান্দি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলমের লোকজন বর্তমান ইউপি সদস্য খালেকের সমর্থকদের গ্রামছাড়া করে। দীর্ঘদিন গ্রামের বাইরে থাকার পর শনিবার সকালে খালেক গ্রুপ পুনরায় গ্রামে ফেরার চেষ্টা করলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত শনিবার ভোরে শাহ আলমের পক্ষের ৫০ জনসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন খালেক মিয়ার বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় আজগর আলী, চান মিয়া, জামির আলী, বাচ্চু মিয়া ও শাহীন মিয়া নামে ৬ জন আহত হন। আজগর মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান।

নিহতের ছোট ভাই ও মামলার বাদী মো. হারিস মিয়া বলেন, 'আমার বড় ভাই আজগর আলীকে টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় যারা জড়িত ছিলেন, শুধু তাদেরই নাম মামলার এজাহারে দেওয়া হয়েছে। আমি ভাই হত্যায় জড়িত সব আসামির সর্বোচ্চ বিচার চাই।'

শ্রীনগর ইউপির চেয়ারম্যান রিয়াজ মোরশেদ খান রাসেল বলেন, 'এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকেই চলছে। এর জেরে মামলা-হামলায় এলাকার শান্তি নষ্ট হচ্ছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল খালেক মিয়া ও অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রায়পুরা থানা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহ আলম মিয়া। আমরা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।'

রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, 'নিহতের ভাই বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। তাছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকেও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

তবে তিনি আসামিদের নাম প্রকাশ করেন নি।

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

12h ago