রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর যশোরের জনসভা থেকে আসবে নির্বাচনী দিক-নির্দেশনা

প্রায় ২৭ মাস পরে আগামীকাল রাজনৈতিক জনসভায় সশরীরে অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে যশোর জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রায় ২৭ মাস পরে আগামীকাল রাজনৈতিক জনসভায় সশরীরে অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে যশোর জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রত্যাশা, এটি হবে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, 'আমাদের নেত্রীর এটি প্রথম জনসভা। তিনি নির্বাচনী আবহ নিয়েই জনগণের সামনে তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।'

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষপট তুলে ধরে তিনি বলেন, 'বিএনপি দাবি করেছে তাদের সমাবেশে জনতার ঢল নামে। আমার প্রশ্ন, তাহলে তারা নির্বাচনে ভয় পায় কেন? তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি না নিয়ে কেন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সারা বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে? অস্থিতিশীল পরিবেশ যেহেতু তারা তৈরির চেষ্টা করছে, তারই প্রতিবাদে দেশবাসীর কাছে আমাদের আহ্বান যে, তাদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।'

আগামীকাল যশোর জনস্রোতে পরিণত হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, 'জনসভাকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য, উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এখানে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা না, এই অঞ্চলের মানুষরা জাতির পিতার আদর্শের প্রতি সব সময় সাংঘাতিকভাবে অনুরক্ত। এই অঞ্চলের উন্নয়নকামী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের ভেতরে ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। সেই জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে আগামীকাল।'

তিনি আরও বলেন, 'জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। শুধু স্টেডিয়াম না, পুরো যশোরে জনস্রোতে পরিণত হবে। জনতার বন্যায় পরিণত হবে।'

'জাতির জনকের কন্যার জনসভাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে একটি নতুন মেসেজ যাবে যে, বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের-সাম্প্রদায়িক শক্তির বাংলাদেশ নয়। দেশবিরোধী অপশক্তি—যারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, যারা দেশের বিপক্ষে বিদেশিদের দুয়ারে দুয়ারে নালিশ করে বেড়ায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়ায় তাদের জন্য হবে মেসেজ; এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ জাতির পিতার সোনার বাংলা। এখানে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। এখানে আমরা শান্তি-সম্প্রীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো। উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে,' বলেন নাসিম।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, 'বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের গণমানুষ এই জনসভায় অংশ নেবেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছেন। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে কাজ করছেন। আগামী দিনে তাদের জন্য শেখ হাসিনা দিক-নির্দেশনা দেবেন।'

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, 'এটি স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ভাষণ দেবেন।'

'আমাদের কোনো কর্মসূচি কারো সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি না। আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশবাসী নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর বা ২৪-এর জানুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচন জাতির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। পার্টি হিসেবে এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে অপশক্তি এ দেশকে দীর্ঘ ২১ বছর শাসন-শোষণ-নিপীড়ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণের কাছে আমরা উপস্থিত হবো। আমাদের নেত্রী জনগণের সঙ্গে কথা বলবেন,' বলেন নানক।

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

6h ago