পাঠ্যপুস্তকে ভুলের ব্যাখ্যা চেয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টের তলব

ফাইল ফটো

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভুলভাবে উপস্থাপনার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ও সদস্যকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে সমন জারি করেন।

বইয়ের ভুলের বিষয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. আলমগীর আলম এ রিট আবেদন করেছিলেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনসিটিবি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে আগামী ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। 

আবেদনকারীর আইনজীবী আলী মুস্তফা খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আবেদনকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিষয়ে বেশ কিছু ভুল তথ্য খুঁজে পেয়েছেন।

তিনি বলেন, 'নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বইয়ে লেখা আছে যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালে একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। বিষয়টি ভুল। কারণ বঙ্গবন্ধু তখন নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।'

আইনজীবী বলেন, 'একই বইয়ে বলা হয়েছে যে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যা ভুল। কারণ তিনি (বঙ্গবন্ধু) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।'

আইনজীবী মুস্তফা বলেন, 'নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের বিভিন্ন পৃষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভুলভাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবর্তে শেখ মুজিব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।'

'সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় নামের বইটিতে আরেকটি ভুল আছে। এটি হলো, ১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যদিও তৎকালীন পাকিস্তানের সব প্রদেশে তখন নির্বাচন হয়েছিল।'

রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশোধন করতে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

2h ago