‘পাঠ্যপুস্তকের ভুলভ্রান্তি নিয়ে কিছু অসাধু ধর্ম ব্যবসায়ী গুজব ছড়াচ্ছে’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুনরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনুন। তাহলে আপনারা ভালো থাকবেন।
Dipu Moni
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। কিছু অসাধু ধর্ম ব্যবসায়ী গুজব ছড়াচ্ছে বা উল্টাপাল্টা ছড়াচ্ছে। এই গুজবে আপনারা কান না দিয়ে বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন।

বাচ্চাদেরকে কালোকে কালা, সাদাকে সাদা বুঝার দক্ষতা অর্জন করতে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি মেঘনা ভিলেজ রিসোর্টে বদরপুর আকবর আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনার জীবনের সকল দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত করলে আপনি ভালো থাকবেন, আগামী ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদেরকে নির্বাচিত করুন। পুনরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনুন। তাহলে আপনারা ভালো থাকবেন।

মন্ত্রী বলেন, সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীর দরকার আছে। তবে, তার পাশাপাশি নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সাবেকরা অবদান রাখতে পারে। যদিও আমরা প্রায়শই শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু, সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকের বড় সামর্থ্য আছে। প্রত্যেকের ছোটছোট সহায়তাও অনেক বড় হতে পারে। কারণ, বিন্দু বিন্দু করেই সিন্ধু হয়। সারা পৃথিবীর সব বড় বড় প্রতিষ্ঠান সাবেক শিক্ষার্থীদের দান ও অনুদানে চলে এবং এক পর্যায়ে বিশাল বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়। আমাদের এখানেও সেটা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু পুনর্মিলনীতে সীমিত না রেখে প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে আপনারা কিছুটা যুক্ত হন। আপনারা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন এবং তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের যেখানে যতটুক উন্নয়ন দরকার তা যেন করেন। অনেকেই আছেন শিক্ষাবিদ, অনেকে বিজ্ঞানী, অনেকে আছেন ভালো প্রশাসক। সকলেই কোন না কোনোভাবে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য  রুহুল আমিন রুহুল, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বদরপুর আকবর আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক এটিএম তরিকুজ্জামান প্রমুখ।

Comments