পাকিস্তানে বাড়ছে পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা, প্রতিরোধে নতুন অভিযান
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ নতুন করে একটি দেশব্যাপী পোলিও বিরোধী অভিযান শুরু করেছে। শিশুদের মাঝে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান।
আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, এ বছর এ ধরনের আরও ৫টি অভিযান চালানো হয়েছিল। ষষ্ঠ অভিযানটি ৫ দিন ধরে চলবে এবং এর লক্ষ্য হবে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া।
নতুন অভিযানের আওতায় থাকছে ইসলামাবাদ, পূর্ব পাঞ্জাব ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বালুচিস্তান প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলো। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে একই ধরনের আরেকটি প্রচারণা শুরু হবে।
পাকিস্তানে পোলিও বিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মী ও পুলিশের সদস্যরা নিয়মিত জঙ্গি হামলার শিকার হন। জঙ্গিদের দাবি, টিকা দেওয়ার নামে এগুলো শিশুদের প্রজনন ক্ষমতা ধ্বংসের পশ্চিমা চক্রান্ত।
এ বছরের এপ্রিল থেকে শুরু করে পাকিস্তানে নতুন করে ২০ জন ব্যক্তি পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত বছর পাকিস্তান পোলিও নির্মূল করার কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছে গেছিল। ২০২১ সালে দেশটিতে মাত্র ১ জন ব্যক্তি পোলিও আক্রান্ত হন।
কিন্তু এ বছর আবারও দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সরকার বাধ্য হয়ে নিয়মিত বিরতিতে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পোলিও বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। এ মাসের শুরুতে সর্বশেষ অভিযানটি চালানো হয়েছিল।
পাকিস্তানের পোলিও বিরোধী অভিযানে সহযোগিতা করছে বিল গেটস ও তার সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস এর 'বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন।' গত মাসে এই দাতব্য সংস্থাটি সারা বিশ্ব জুড়ে পোলিও নির্মূল করার জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার তহবিল দানের ঘোষণা দেয়। ২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে পোলিও নির্মূল করার কাজে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে পোলিও-মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক সনদ কমিটি এই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়, যেটি জনস্বাস্থ্য খাতের একটি বড় মাইলফলক।
Comments