‘গার্মেন্টসে লোকসান হলে টিভি চ্যানেল, এয়ারলাইন্স ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক কীভাবে’
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেছেন, গার্মেন্টস মালিকরা যদি লোকসানের কারণ দেখিয়ে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি না করেন, তবে টিভি চ্যানেল, এয়ারলাইন্স ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক হচ্ছেন কীভাবে?
আজ বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মজুরি বোর্ড গঠনের দাবিতে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর সময় এলে মালিকপক্ষ কান্নাকাটি শুরু করে যে, তাদের লোকসান হচ্ছে। আমরা বুঝতে চাই- কীভাবে তাদের লোকসান হয়।'
এই শ্রমিক নেতা বলেন, 'চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি গঠন না করা হলে সারাদেশে আন্দোলন করবেন শ্রমিকরা।'
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব থেকে সড়ক প্রদক্ষিণ করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যান। পথিমধ্যে সচিবালয়ের কাছে মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর সংগঠনের পক্ষ থেকে ৪ সদস্য শ্রম মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফারুক খান ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম রাজু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩৯ (৬) ধারা অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পুনঃনির্ধারণ করা হবে। এ ছাড়াও, বিশেষ অবস্থা বিবেচনা করে সরকার ৩ বছর পার হলেও মজুরি পুনঃনির্ধারণ করতে পারে। ২০১৮ সালে নির্ধারিত মাসিক ৮ হাজার টাকা মজুরি পেয়ে আসছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এ টাকা দিয়ে ১৫ দিনও সংসার চালানো যায় না। যাতায়াত ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল ও চিকিৎসা খরচ বৃদ্ধি পেলেও তাদের মজুরি বাড়েনি।
Comments