নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ রানেই অলআউট বাংলাদেশের মেয়েরা

সামনে ছিল ১৬৫ রানের বড় লক্ষ্য। সেটার পেছনে ছোটা তো দূরে থাক, ন্যূনতম লড়াইও করতে পারল না বাংলাদেশের মেয়েরা!
ছবি: নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট

সামনে ছিল ১৬৫ রানের বড় লক্ষ্য। সেটার পেছনে ছোটা তো দূরে থাক, ন্যূনতম লড়াইও করতে পারল না বাংলাদেশের মেয়েরা! নিউজিল্যান্ডের হেইলি জেনসেন ও লিয়া তাহুহুর পেস বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ল তারা। করল অসহায় আত্মসমর্পণ।

শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে টাইগ্রেসরা। স্বাগতিক মেয়েদের ৪ উইকেটে ১৬৪ রানের জবাবে তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ৩২ রানেই। তখনও বাকি ছিল ইনিংসের ৩১ বল। একপেশে লড়াইয়ে অনায়াস জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে কিউইরা।

টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের মেয়েদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর চেয়ে কম রানেও অলআউট হওয়ার নজির আছে তাদের। ২০১৮ সালের অক্টোবরে মোটে ৩০ রানে থেমেছিল তারা। ঘরের মাঠে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান।

নিউজিল্যান্ডের ভিন্ন ও চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ রান করতে ১৭ বল খেলেন রিতু মনি। অতিরিক্ত খাত থেকেও আসে সমান সংখ্যক রান। সফরকারী ব্যাটারদের ব্যক্তিগত ইনিংসগুলো হলো যথাক্রমে ৩, ২, ০, ৫, ০, ৬, ৫, ২, ২, ১ ও ০।

শুরুতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং এলোমেলো করে দেন দুই পেসার জেনসেন ও তাহুহু। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ১২ রানে পড়ে যায় ৫ উইকেট। সেই ধাক্কা সামলে আর এগোতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তাহুহু ৬ রানে ৪ এবং জেনসেন ৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। শেষটা মুড়ে দেওয়া বাঁহাতি স্পিনার ফ্রান জোনাস ২ রানে পান ২ উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন নিউজিল্যান্ডের দলনেতা সোফি ডিভাইন। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর প্রথম থেকেই চড়াও হন তিনি ও আরেক ওপেনার সুজি বেটস। শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শেষদিকে তাণ্ডব চালান ম্যাডি গ্রিন।

ডিভাইন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ৩৪ বলে। ৩৩ বলে ৪১ রান আসে বেটসের ব্যাট থেকে। গ্রিন ২৩ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। জাহানারা আলম ও রিতু ছাড়া বাংলাদেশের বাকি পাঁচ বোলার প্রতি ওভারে গড়ে আটের বেশি রান খরচ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

History of student protests in the USA

American campuses -- home to some of the best and most prestigious universities in the world where numerous world leaders in politics and academia have spent their early years -- have a potent history of student movements that lead to drastic change

3h ago