ক্যাম্পাস

ঢাবি ক্যাম্পাসে আজ বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ দেখাবে না ছাত্রলীগ

‘বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার পরিকল্পনা’ চলছে— এমন অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুধু আজকের জন্য বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ দেখানো বন্ধ রেখেছে ছাত্রলীগ।
ঢাবি ক্যাম্পাসে আজ বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ দেখাবে না ছাত্রলীগ
ফাইল ছবি

'বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম' এবং 'বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার পরিকল্পনা' চলছে— এমন অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুধু আজকের জন্য বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ দেখানো বন্ধ রেখেছে ছাত্রলীগ।

বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার শুরু থেকেই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নগদের অর্থায়নে ক্যাম্পাসের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও টিএসসিতে বড় পর্দায় খেলা দেখানো আয়োজন করে ছাত্রলীগ।

বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ দেখতে হাজারো দর্শকের ভিড় জমে ক্যাম্পাসে। তবে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে না আসার আহ্বান জানিছে।

আজ শুক্রবার খেলা বন্ধের ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরা ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ নান্দনিক ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপন করছি। যা বৈশ্বিক গণমাধ্যমেরও দৃষ্টিগোচর হয়েছে।'

তিনি আরও লিখেছেন, 'বিএনপি-জামাতের ঘোষিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম, বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার পরিকল্পনা, আগুনসন্ত্রাস ও বোমাবাজির নীলনকশার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকার অনুরোধ করছি। এরই অংশ হিসেবে আজকের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বে ভিন্ন দুটি ম্যাচে জনপ্রিয় দুটি দল অংশগ্রহণ করতে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এতে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সফট টার্গেট হিসেবে এটিকে ব্যবহার করার আশঙ্কা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে শুধু আজকের জন্য মুহসীন হলের মাঠ, টিএসসি ও স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে খেলা দেখানো বন্ধ থাকছে।'

'আগামীকাল থেকে আবার আমরা ক্যাম্পাসে মেতে উঠব ফুটবল বিশ্বকাপ উদযাপনে। আজকের বিরতি আগামীর বৃহত্তর উদযাপনের জন্য।' যোগ করেন তিনি।

সাদ্দাম বলেন, 'বিএনপি-জামাতের নাশকতার অপচেষ্টা এবং ক্যাম্পাসে পরিকল্পিত সন্ত্রাস তৈরির পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। যেকোনো মূল্যে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার শিক্ষার্থীদের দেওয়া উপহার সেশনজটমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গণের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।'

Comments