রাজনীতি

সরকার মানবাধিকারকে লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়েছে: গণঅধিকার পরিষদ

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেছেন, 'সরকার ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে আর মানবাধিকারকে লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়েছে।'
পল্টনে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেছেন, 'সরকার ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে আর মানবাধিকারকে লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়েছে।'

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে পল্টনে এক আলোচনা সভার পর র‍্যালি করে গণঅধিকার পরিষদ। 

র‍্যালি শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সংগঠনটির সদস্য সচিব নুরুল হক নূর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনারা সরকারের কথায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করবেন না। আজকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস, এই দিবসটি সারাবিশ্বে পালন করে অথচ বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার নাই।'

নূর বলেন, 'সরকার ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে আর মানবাধিকারকে লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়েছে। গত ১৩ বছর ধরে সরকার বিরোধী দলের অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে, তারপরও গণতন্ত্রকামী মানুষের লড়াই থামাতে পারেনি।'

'আইসিইউতে থাকা গণতন্ত্রকে সেবা করে সুস্থ করার জন্য গণতন্ত্রকামী আপসহীন মানুষদের নিয়ে আজ মানবাধিকার দিবসে রাজপথে নেমেছে গণঅধিকার পরিষদ,' বলেন তিনি।

নূর আরও বলেন, 'বিএনপি ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে কোথাও তারা গাড়িতে একটা ঢিলও দেয়নি, বিন্দু পরিমাণ বিশৃঙ্খলা করেনি। সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করে যখন ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা করেছে, তখন সরকার নিজেদের পতনের ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সারাদেশে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে।'

'এসব করে পৃথিবীর কোনো দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করা যাবে না, বাংলাদেশের এই স্বৈরাচারের পতন অনিবার্য,' যোগ করেন তিনি। 

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, 'সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তল্লাশি ও ভাঙচুর চালিয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন। সরকার যদি আরও মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে থাকে, তাহলে এ দেশের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।'

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর খানের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-আহ্বায়ক মালেক ফরাজী, সহকারী আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ সিদ্দিকী।

Comments