‘সংবিধান তোয়াক্কা না করে লুটেরা পুঁজিবাদী ধারাকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থনীতি চলছে’

ঢাকার মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সিপিবি নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা বলেছেন, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ এর সংবিধান প্রণীত হয়েছিল।

ওই সংবিধানে সীমাবদ্ধতা থাকলেও রাষ্ট্রীয় ৪ মূলনীতি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্রের ভিত্তিতে দেশকে অগ্রসর করার কথা ছিল। এই অবস্থা থেকে দেশ আজ অনেক দূরে অবস্থান করছে। গণতন্ত্রহীনতা আর বৈষম্য টিকিয়ে রেখে বিজয়ের স্বাদ পাওয়া যায় না।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সিপিবি নেতারা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম। এ সময় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ), সভাপতি সামসুজ্জামান হীরা বক্তব্য দেন।

সিপিবির নেতারা বলেন, 'দেশের সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে সাম্রাজ্যবাদ নির্ভর লুটেরা পুঁজিবাদী ধারাকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থনীতি পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে লুটপাট-দুর্নীতি, টাকা পাচার, ঋণ খেলাপি বেড়ে চলেছে। উৎপাদনের সঙ্গে  সম্পর্কিত সাধারণ মানুষ সংকটে পড়ছে। বৈষম্য বেড়েই চলেছে।'

'এই ধারা অব্যাহত রাখতে শাসকরা গণতন্ত্রহীনতা, সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লুটেরারা সমাজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর কৃষককে জেলে যেতে হচ্ছে', যোগ করেন তারা।

নেতারা বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও এ চেতনা ভূলুণ্ঠিত করে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে গণতন্ত্রহীন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন রাষ্ট্রীয় খাতকে লুটেরাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের সুফল ৫০ বছর পরেও জনগণের কাছে পৌছাঁতে পারছে না।'

সিপিবি নেতারা 'চলমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করার' আহ্বান জানান।

তারা বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট পার্টি গেরিলা বাহিনীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছিলেন, মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাদের সংগ্রাম বৃথা যাবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

What we expect from a people-centric health budget

We must strongly advocate for a people-centric health budget.

8h ago