নতুন জঙ্গি সংগঠনের অর্থায়নে জামায়াত আমির: ডিএমপি কমিশনার
নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান অর্থায়ন করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি জানান, তার সমর্থনেই ছেলে ডা. রাফাত নতুন ওই জঙ্গি সংগঠনে জড়ান। তার প্রত্যক্ষ মদতে বেশ কয়েকজন সংগঠনটিতে প্রশিক্ষণও নেন।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব জানান ডিএমপি কমিশনার।
নতুন কোন জঙ্গি উত্থানের শঙ্কা আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, 'একাত্তরের পরাজিত শক্তি স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা করছে। তারা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করেছে।'
'আমরা দেখেছি বাংলাদেশে ২০১২-১৩ সালে, ২০১৫-১৬ সালে ও তারও আগে ২০০৫-২০০৬ সালে জঙ্গিবাদ উত্থানের চেষ্টা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াত আমিরের ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। সে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সক্রিয় সদস্য হয়। তার বাবা তাকে জেনে শুনে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাওয়াকে সমর্থন করেছেন। সে তার বাবার কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পেয়েছে। তার বাবার কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পেয়ে সে অন্যান্য জঙ্গিকে সংগঠিত করেছে। জঙ্গিদের অর্থায়নের কারণে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে দেশে নতুন করে জঙ্গি উত্থান হচ্ছে,' বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, 'কিন্তু আমরা অতীতে দেখেছি বাংলাদেশের জনগণ জঙ্গিবাদকে কখনোই সমর্থন করে না। অতীতে করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করেছি। বিজয়ের মাসে আপনাদের বলতে চাই, বাঙালি জাতিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা নতুন জঙ্গি তৎপরতা আবারও কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করব।'
জামায়াত আমিরকে রিমান্ডে নেওয়ার পর নতুন কোনো তথ্য পেয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'কিছু তথ্য পেয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অভিযান চলছে। জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে গোপনীয়তার স্বার্থে সে বিষয়গুলো এখনই আপনাদের সামনে আনতে পারছি না। অভিযান সফল হলে পরবর্তীতে আপনাদের এ বিষয়ে জানানো হবে।'
আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া ২ জন জঙ্গির বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার যারা ওখানে ডিউটিতে ছিল, গাফিলতির জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির না হয় সেজন্য পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার কী করণীয় তার একটি সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছে।'
আদলতে জঙ্গি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে কমিশনার বলেন, 'নজরদারিতে শুধু সেই ২ জনই না, জঙ্গি ছিনতাইয়ে যারা জড়িত ছিলেন তাদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগির তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।'
Comments