করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ আজ থেকে

করোনার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দিতে আজ মঙ্গলবার থেকে বিশেষ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমেদুল কবির সকাল ৯টায় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা যারা ইতোমধ্যে তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাদের এই কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে সার্কুলারে বলা হয়েছে, এছাড়া ফ্রন্টলাইনার, অন্তঃসত্ত্বা নারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের এই ক্যাম্পেইনের সময় টিকা দেওয়া হবে।

ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে আছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মী ও এর সহযোগী সংস্থা এবং অনুমোদিত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সব কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী ও সামরিক কর্মী, সাংবাদিক, ব্যাংক কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং ফ্রন্টলাইনে কাজ করা অন্যদের।

চতুর্থ ডোজ ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে এবং সারা দেশের স্থায়ী টিকা কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, এই জাতীয় প্রায় ১ হাজারটি কেন্দ্র আছে। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৪.৯ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, ১২.৬৫ কোটিরও বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রায় ৬.৪৬ কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কর্মসূচি শুরু করে সরকার। পরে বিভিন্ন কোম্পানির আরও ৬টি টিকা এই তালিকায় যুক্ত হয়। এগুলো হলো- ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোভ্যাক, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং ফাইজার-পিডি (কমির্নাটি)।

Comments

The Daily Star  | English

CA terms trade deal with US ‘a decisive diplomatic victory’

"Our negotiators have demonstrated remarkable strategic skill,” said Yunus

1h ago