নাক দিয়ে নেওয়া প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল চীন

বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে চীন একটি সুঁইবিহীন ও নাক দিয়ে নেওয়া যায় এরকম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। তিয়ানজিন ভিত্তিক ক্যানসিনো বায়োলজিকস নামের প্রতিষ্ঠান এই ভ্যাকসিনটি উদ্ভাবন করেছে।
চীনের তিয়ানজিনে অবস্থিত ক্যানসিনো বায়োলজিকসের সদর দফতর। ছবি: রয়টার্স
চীনের তিয়ানজিনে অবস্থিত ক্যানসিনো বায়োলজিকসের সদর দফতর। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে চীন একটি সুঁইবিহীন ও নাক দিয়ে নেওয়া যায় এরকম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। তিয়ানজিন ভিত্তিক ক্যানসিনো বায়োলজিকস নামের প্রতিষ্ঠান এই ভ্যাকসিনটি উদ্ভাবন করেছে।

আজ সোমবার দ্য স্ট্রেইটস টাইম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনের জাতীয় মেডিকেল পণ্য প্রশাসন বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য ক্যানসিনোর এডি৫-এনকোভ 'ইনহেলড' টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে।

আজ হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে এক বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করার পর ক্যানসিনোর শেয়ারের মূল্য ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যানসিনো 'ওয়ান শট ভ্যাকসিন' (এক ডোজের টিকা) বাজারে এনেছিল। এটি সাফল্যের সঙ্গে চীন, মেক্সিকো, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও হাঙ্গেরিতে ব্যবহার হয়েছে।

২০২১ সালে ক্যানসিনো বায়োলজিকসের ওয়ান-শট ভ্যাকসিন বাজারে আসে। ছবি: রয়টার্স
২০২১ সালে ক্যানসিনো বায়োলজিকসের ওয়ান-শট ভ্যাকসিন বাজারে আসে। ছবি: রয়টার্স

নতুন টিকাটি এই ভ্যাকসিনের 'ইনহেলড'  সংস্করণ।

ক্যানসিনো দাবি করেছে, এই ভ্যাকসিন নাক দিয়ে নেওয়া যায় এবং এটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।

বেশ কিছুদিন ধরে মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ভ্যাকসিনের ইনহেলড সংস্করণ তৈরির জন্য কাজ করছে। এই ভ্যাকসিনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এটি নিজেই নেওয়া যায় এবং সুঁইয়ের মাধ্যমে টিকা নিতে অনীহা আছে এমন মানুষের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

এছাড়াও, যেহেতু এই টিকা নেওয়ার জন্য অন্য কারও সহায়তা লাগে না, সেহেতু এতে স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের ওপর চাপও কমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্যানসিনোর ওয়ান-শট ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রতিরোধে ৬৬ শতাংশ এবং ভয়াবহ পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকাতে ৯১ শতাংশ উপযোগিতা দেখিয়েছে। তবে ব্যবহারের দিক থেকে এটি এখনো চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের চেয়ে পিছিয়ে আছে। এ ২টি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে মোট ৭৭০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন রপ্তানি করেছে।

ক্যানসিনোর ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়াটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনীয় বলেও জানানো হয় স্ট্রেইটস টাইমের প্রতিবেদনে।

 

Comments