পোলিং এজেন্টকে বেঁধে রাখলেন নির্বাচন কর্মকর্তা

পোলিং এজেন্ট
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে প্রতীক দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে প্রতীক দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। একই অভিযোগে আরেক নারী পোলিং এজেন্টকে দেওয়া হয়েছে ৬ মাসের কারাদণ্ড।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে তালগাছ প্রতীকে পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন মো. সেলিম। এক ভোটারকে ইভিএমে ভোট দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন তাৎক্ষণিক মো. সেলিমকে স্কুলের  পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

নোয়াখালী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মো. সেলিম মিয়া এক ভোটারের বুথে ঢুকে তার পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে চাপ প্রয়োগ করছিলেন যা আমার চোখে ধরা পড়ে তাই তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

পোলিং এজেন্ট সুমি আক্তারও একই অপরাধ করার কারণে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাসত করা হবে না। ভোটাররা যেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন সে জন্য জেলা নির্বাচন কার্যালয় কাজ করছে। এ বিষয়ে কোনো আপস নেই।

পোলিং এজেন্ট মো. সেলিম বলেন, ইভিএম নতুন পদ্ধতি। আমি ভোটারদের দেখিয়ে দিয়েছি। আমাকে এভাবে বেঁধে রেখে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।

বৃহত্তর নোয়াখালীর মানবাধিকার কমিশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বি এম কামাল উদ্দিন বলেন, এভাবে বেঁধে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। তার দোষ থাকলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এটি করা ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম বলেন, বিষয়টা মাত্র জেনেছি। খবর নিচ্ছি।

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago