প্রেসিডেন্ট থাকাকালে চীনসহ একাধিক দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল ট্রাম্পের

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৬ বছরের ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ট্রাম্পের চীন, যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের মতো দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল।

দীর্ঘদিনের আইনি লড়াই শেষে গতকাল শুক্রবার হাউস ওয়েজ অ্যান্ড মিনস কমিটির মাধ্যমে ট্রাম্পের ৬ বছরের রিটার্নের তথ্য প্রকাশ করা হয়।

রিটার্নে দেখা গেছে, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রেখেছিলেন। যেখানে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে চীনে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

অ্যাকাউন্টগুলোর বিষয়ে ট্রাম্পকে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমস এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ককে (ফিনসেন) প্রতিবেদন দিতে হয়েছিল। ট্যাক্স ফাইল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

২০২০ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের আইনজীবী এলান গার্টেন জানান, চীনে ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি ট্রাম্পের ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা পরিচালার জন্য ব্যবহৃত হতো। 

২০২০ সালে প্রকাশ হওয়া চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনের তথ্য অনুযায়ী, জো বাইডেনকে চীনের 'হাতের পুতুল' হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করা হয়। তবে বাইডেনের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন থেকে দেখা গেছে চীনের সঙ্গে তার কোনো ব্যবসায়িক লেনদেন বা সেখান থেকে কোনো উপার্জন নেই। 

ট্রাম্পের রিটার্ন প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইনকাম ট্যাক্সের তুলনায় অনেক বেশি বিদেশি ট্যাক্স পরিশোধ করেছিলেন।

সেখানে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রথম ও শেষ বছর খুব কম পরিমাণ আয়কর জমা দিয়েছেন ট্রাম্প।

২০১৭ সালে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্যাক্সের জন্য মাত্র ৭৫০ ডলার প্রদান করেছিলেন। এর কারণে হিসেবে তিনি আগের বছরের বড় ধরনের ক্ষতির কথা উল্লেখ করেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত তার সমস্ত আমেরিকান ট্যাক্স দায় অস্বীকার করেন। তবে, সে বছর ট্রাম্প বিদেশে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স দিয়েছিলেন।

ট্রাম্প যে পরিমাণ বিদেশি কর দিয়েছেন সেটা বিস্ময়কর নয়, তবে এটি থেকে বোঝা যায় কীভাবে ট্রাম্পের কোম্পানি এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

ট্যাক্স রিটার্নে ট্রাম্প আজারবাইজান, পানামা, কানাডা, ভারত, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিপাইন, গ্রেনাডা, মার্কিন অঞ্চল পুয়ের্তো রিকো, জর্জিয়া, ইসরায়েল, ব্রাজিল, সেন্ট মার্টেন, মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক এবং সেন্ট ভিনসেন্টে ব্যবসায়িক আয়, ব্যয়, ট্যাক্স বা অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আর্থিক বিষয়ের হিসাব তালিকাভুক্ত করেছেন। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Confronting Dhaka’s battery-run rickshaw dilemma

One of the more recent manifestations of informal urban expansion is the proliferation of battery-run rickshaws.

7h ago