হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকা অভিমুখী রোড মার্চ শুরু

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকা অভিমুখী রোড মার্চ শুরু

২০১৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা অভিমুখী রোড মার্চ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বানে আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র চত্বর থেকে ২ দিনব্যাপী এই রোড মার্চ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।

রোড মার্চের উদ্বোধন ঘোষণা করে সন্তু লারমা বলেন, 'দীর্ঘদিন যাবত দেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার আন্দোলনের যে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার ধারাবাহিকতায় আজকের এই রোড মার্চ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সমাজ নানাভাবে শোষিত, বঞ্চিত ও প্রতারিত হয়ে আসছে। আজকের এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আদিবাসী সমাজ ও সংখ্যালঘু সমাজ তাদের স্বাধিকার, অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।'

'আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সমাজ মিলিতভাবে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। আমাদের জীবনধারণের ওপর যে বঞ্চনা ও শোষণ নিপীড়ন চলছে, ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তা অবসানের লক্ষ্যে আমরা অগ্রসর হবো,' তিনি যোগ করেন।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে সর্বস্তরের কর্মী-সমর্থকদের আহ্বান জানান।

রোড মার্চ কর্মসূচি শুরুর আগে ৬ জানুয়ারি সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানিক বলেন, 'এই রোডমার্চের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। রোডমার্চের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ আমরা গড়বই। কোনো বাধা আমরা মানবো না। আমাদের শত্রু কারা? ধর্মান্ধরা, জামাতিরা।'

তিনি বলেন, 'মির্জা ফখরুল বলেছেন পাকিস্তান ভালো ছিল। তাহলে পাকিস্তান চলে যান। সাকা (যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী) পুত্র বলেছে প্রধানমন্ত্রীকে নাকি তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সাকা পুত্র তুমি পাকিস্তান চলে যাও। তোমার পিতা, পিতামহ সবাই পাকিস্তানি। সামনে নির্বাচন। সে শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে, যারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল।'

চট্টগ্রামসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোড মার্চ আজ ৬ জানুয়ারি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে ৭ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হয়ে পদযাত্রা সহকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবে।

রোড মার্চের দাবিসমূহ হচ্ছে- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন ইত্যাদি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh's exports stuck in EU, US orbit

Non-garment exports struggle with quality standards and logistics bottlenecks

13h ago