গ্রেপ্তার এড়াতে ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার আসামির পরিবারের, হামলায় আহত ৫ পুলিশ

নরসিংদীর ১ কেন্দ্রে ভোট বাতিল

নরসিংদী সদরের চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকায় একই পরিবারের ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ফরহাদ মিয়া (২২) নামের ১ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও বাকি ২ আসামি মজনু মিয়া (৫০) ও সুজন মিয়া (৩৪) পালিয়ে গেছেন।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া।

হামলার ঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুরে নরসিংদী সদর থানায় মজনু, সুজন ও ফরহাদসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।  

আহত ৫ পুলিশ হলেন হলেন নরসিংদী সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) এরশাদ আলী, কামরুজ্জামান, রবিউল আওয়াল এবং সহকারী পুলিশ পরিদর্শক আলম ও নাজমুল হাসান। তাদের নরসিংদী সদর হাসপালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মাদক, ডিবি পুলিশের ওপর হামলাসহ একাধিক মামলার আসামি গাবতলী এলাকার পুরান পাড়ার বাসিন্দা মজনু মিয়া, তার ভাই সুজন মেয়ে ও ছেলে ফরহাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে গতকাল রাতে তাদের বাড়িতে যায় পুলিশের ১১ সদস্যের একটি দল। পুলিশ নিজেদের পরিচয় ও ওয়ারেন্টের কাগজ দেখালেও এ সময় আসামিরাসহ বাড়ির লোকজন পুলিশের ওপর চড়াও হন এবং ইট-পাটকেলসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। এতে ৫ পুলিশ আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফরহাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা পালিয়ে যান।

নরসিংদী সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) এরশাদ আলী বলেন, 'আমরা গতকাল রাতে আসামি মজনু মিয়া ও তার ছেলে ফরহাদ (২২) মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে করতে যাই। আমাদের পরিচয় ও আদালতের ওয়ারেন্ট দেখালেও তাদের পরিবারের সদস্যরা ডাকাত ডাকাত বলে হট্টগোল শুরু করেন এবং আমাদের ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। এতে আমার ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইটের আঘাত লাগে। আমি ছাড়াও পুলিশের ৪ জন আহত হয়েছেন।'

নরসিংদীর ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, 'গ্রেপ্তার ফরহাদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

Comments