অপরাধ ও বিচার

মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করার আদেশ প্রত্যাহার

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য জারি করা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য জারি করা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মির্জা আব্বাসের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।

অবৈধভাবে ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার একই আদালত প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের জন্য দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং মির্জা আব্বাসকে ১৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

নয়াপল্টনে ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৯ ডিসেম্বর ভোর ৩টার দিকে মির্জা আব্বাসকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল হুদা গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টে চার্জশিট দাখিল করেন।

আফরোজা আব্বাস এর আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মির্জা আব্বাস ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন। সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তিনি ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে স্ত্রীর নামে তিনি ওই সম্পদ গড়েন।

আফরোজা আব্বাস ও মির্জা আব্বাসকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৭ (১), দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং এ ছাড়াও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১২ এর অধীনে অবৈধভাবে সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর এবং সম্পদ গোপন করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক সালাহউদ্দিন ও রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় তদন্ত কর্মকর্তা ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই মামলা করেন।

 

Comments