গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়বে
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে শিল্পকারখানায় উৎপাদন খরচ এবং মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও দুর্ভোগে পড়বে বলেও জানান তারা।
রোববার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। এর আগে গত মাসে বেশিরভাগ খাদ্যদ্রব্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় ডিসেম্বরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আরও কমে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)।
এ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বিসিআই সভাপতি বলেন, 'বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও ভোগান্তিতে পড়বে। বিপিডিবি যদি দুর্ভোগ বাড়াতে না চায়, তবে তাদের কার্যদক্ষতা বাড়াতে হবে। দাম বাড়িয়ে লাভ হয় না, বরং কার্যদক্ষতা বাড়িয়ে হয়।'
'বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে এবং ইউরোপেও মন্দার আশঙ্কা রয়েছে। এমন সময়ে যখন রপ্তানি টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ তখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে কারখানাগুলোতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে,' বলেন তিনি।
অপচয় কমানোর পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর ও অন্যান্য কর কমাতে হবে। শিল্পকারখানা যাতে টিকে থাকতে পারে এবং নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, 'যখন বিশ্বব্যাপী মন্দার উদ্বেগ বাড়ছে, তখন বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে কারখানার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। দাম বাড়ানোর চেয়ে, তাদের উচিত সিস্টেম লস কমানো। এখনো অনেক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। তাই সরকার যদি অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা। তাহলে যে খরচ বেড়েছে তা কিছুটা সামাল দেওয়া যাবে।'
'বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিবর্তে সরকার গ্যাসের দাম কিছুটা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করতে পারে। শিল্পকারখানাগুলো যাতে বেশি উৎপাদন করতে পারে সেজন্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে,' বলেন তিনি।
Comments