অর্থপাচার মামলায় হাইকোর্টে জামিন পাননি ডেসটিনির ২ শীর্ষ কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

২ হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

এই মামলায় রফিকুল ও হোসেনের জামিন চেয়ে দায়ের করা ২টি আপিল খারিজ করে দেন হাইকোর্টের ২টি পৃথক বেঞ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ হোসেনের আপিল খারিজ করেন এবং বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চ রফিকুলের আপিল খারিজ করে দেয়।

এসময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এর আগে মামলার ২ আসামির জামিন নামঞ্জুর করায় খারিজ আদেশ দেন।

মোহাম্মদ হোসেনের আইনজীবী এম সারার হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার মক্কেল হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারেন।

এই মামলাসহ ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ২টি মামলায় ১০ বছর ৪ মাস ধরে কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ২০১৭ সালে শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, ডেসটিনির বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের আওতায় লাগানো ৩৫ লাখ গাছ বিক্রি করে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন সরকারকে ২৮ হাজার কোটি টাকা দিলে জামিনে মুক্তি পাবেন। কিন্তু, রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসাইন সেই শর্ত পূরণ করেননি।

২০১২ সালে রফিকুল ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় মামলা করে দুদক।

এর আগে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর রফিকুল ও মোহাম্মদ হোসেন আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গত বছরের ১২ মে ঢাকার একটি আদালত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০ সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-আর-রশিদসহ ৪৬ আসামিকে অর্থপাচার মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। এদের মধ্যে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসাইনকে ১২ বছর এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-আর-রশিদকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English
A dangerous suggestion

A dangerous suggestion

No provision in the constitution should be outside the purview of the judiciary

5h ago